লিওনেল মেসি এখন মুক্ত-স্বাধীন। এই মৌসুম শেষ হলেই তিনি চাইলে বার্সায়ও থাকতে পারবেন, চাইলে অন্য কোনো ক্লাবেও যোগ দিতে পারবেন। কোনো ট্রান্সফার ফি পর্যন্ত লাগবে না। গত মৌসুমের শেষে মেসি যে বার্সা ছাড়তে চেয়েছিলেন, তখন তাকে কেনার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি।
কিন্তু এবার বার্সা অধিনায়ককে কেনার জন্য সবার চেয়ে এগিয়ে রয়েছে ফ্রান্সের ক্লাব পিএসজি। যে দলটির হয়ে খেলছেন নেইমার, এমবাপেরা। এবার মেসি যদি যোগ দেন, তাহলে চাঁদের হাট বসবে প্যারিসে। রিয়ালকে বাদ দিয়ে গ্যালাক্টিকোর মালিক হয়ে যাবে তাহলে পিএসজিই।
মূলতঃ নেইমারের সঙ্গে সম্পর্কের কারণেই মেসি নিজেই এখন যেতে চাচ্ছেন পিএসজিতে। এমনই খবর ইউরোপিয়ান মিডিয়াগুলোর। পিএসজিও মেসিকে যথাযত সম্মান দিয়ে বরণ করে নিতে চাচ্ছে। দুয়ে-দুয়ে চার মিলে গেলে তো পার্ক ডি ফ্রান্সেসেই দেখা যাবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে খেলছেন মেসি এবং নেইমার।
মাঝে নেইমার নিজেই চেয়েছিলেন পিএসজি ছেড়ে যাবেন। মুখ ফুটেও পর্যন্ত বলে ফেলেছিলেন। মেসি নিজেই চেয়েছিলেন নেইমারকে বার্সায় ফিরিয়ে আনতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনোটাই সম্ভব হয়নি। উল্টো নেইমার এখন বলছেন, তিনি পিএসজিতেই খুব ভালো আছেন এবং এখানেই থাকতে চান।
শুধু তাই নয়, এরই মধ্যে পিএসজির সঙ্গে চার বছরের নতুন চুক্তিও করে ফেলেছেন নেইমার। বিশ্লেষকরা বলছেন, মেসির আসার সম্ভাবনা বাড়ার কারণেই পিএসজির সঙ্গে লম্বা সময়ের চুক্তি করলেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা।
নেইমার এ নিয়ে বলেন, ‘পিএসজিতে আমি খুবই খুশি আছি এখন। অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়ে গেছে। আমি আরও কয়েকটি মৌসুম এখানে কাটাতে চাই। আশা করি কিলিয়ান এমবাপেও একইভাবে থাকবেন এখানে।’
কিছুদিন আগেও এক সাক্ষাৎকারে মেসি বলেছেন, ‘বার্সা ছাড়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সেটাই ধরে রাখতে চাই আমি।’ যদিও সম্প্রতি স্প্যানিশি পত্রিকা এল মুন্ডো বার্সার সেঙ্গ মেসির করা বিশাল অর্থনৈতিক চুক্তির বিষয়টি ফাঁস করে দিয়েছে, এমনকি অন্য কোথাও এত বিপুল পরিমাণে অর্থ মেসি নাও পেতে পারেন, এই পরিস্থিতিতে তিনি ন্যু ক্যাম্প ছাড়বেন কি না তা নিয়েও জ্বল্পনা-কল্পনা তৈরি হয়েছে।
তবে পিএসজির সামনে বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে তারা কিলিয়ান এমবাপেকে ধরে রাখবে নাকি ছেড়ে দেবে। মেসিকে যদি তারা নিতে পারে, তাহলে এমবাপেকে ছেড়ে দেয়াছাড়া উপায় নেই। আর যদি তাকে ধরেই রাখে, তাহলে মেসিকে কিভাবে কিনবে? করোনার কারণে যে অর্থনৈতিক সমস্যা তৈরি হয়েছে, সেটাকে সামলাতে একজন তারকাকে ছাড়তেই হবে পিএসজিকে।
পিএসজির সঙ্গে এমবাপের চুক্তি শেষ হবে ২০২২ সালে। ইউরোপিয়ান ফুটবলের ফাইন্যান্সিয়াল রেগুলেশন রয়েছে, সে হিসেবে পিএসজির পক্ষে একসঙ্গে নেইমার এবং এমবাপেকে ধরে রাখা সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে এমবাপেকে কেনার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে রিয়াল মাদ্রিদ। এ ক্ষেত্রে তারা দু’একজন খেলোয়াড়কে ছেড়েও দিতে পারে। যেমন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। এমবাপেকে পেতে এই ব্রাজিলিয়ানকে উৎসর্গ করে দিতে পারে রিয়াল মাদ্রিদ।
এসবই ঘটতে পারে মেসির পিএসজিতে যাওয়াকে কেন্দ্র করে। যদি মেসি প্যারিসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েই থাকেন, তখন।