বগুড়ার ধুনট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হাই খোকনের বিরুদ্ধে ৫ দফা অভিযোগ এনে অনাস্থা প্রস্তাব তুলেছেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেওয়ারম্যান ও ৯ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হাই খোকন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
আজ শুক্রবার সকালের দিকে ধুনট উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মহসীন আলম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ওই অনাস্থা প্রস্তাবে উপজেলা পরিষদের দুই ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যে একজন এবং ১০ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মধ্যে ৯ জন স্বাক্ষর করেছেন। আগের দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনাস্থা প্রস্তাবটি পাঠানো হয়েছে।
অনাস্থা প্রস্তাবের অভিযোগে জানা গেছে, ধুনট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই খোকন উপজেলা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে থাকেন। তিনি ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারী মাসে উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় উপস্থিত হননি। এ কারণে তার স্বাক্ষরের অভাবে উপজেলা পরিষদের এডিপি, টিআর, কাবিখা, কাবিটা, বয়স্কভাতা, বিধিবা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, জাইকা প্রকল্পের কাজ ও রাজস্বখাতের উন্নয়ন কাজ ব্যবহত হচ্ছে।
এদিকে উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় তার অনুপস্থিতির কারণে মসজিদ ও মন্দির ভিত্তিক উন্নয়ন প্রকল্পের ৩০ লাখ টাকা ফেরত গেছে। এ ছাড়া সরকারি বেশ কিছু প্রকল্পের অনুকূলে বরাদ্দকৃত টাকা ফেরত যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। মুজিববর্ষ উদযাপনের জন্য সরকারি বরাদ্দের টাকা ছাড়া করা যাচ্ছে না। সরকারি বরাদ্দে এলকার উন্নয়ন কাজ ব্যহত হওয়ায় চেয়ারম্যানরা ক্ষুব্ধ হয়ে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব করা হয়েছে।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের কথা শুনেছি। সরকারি বরাদ্দকৃত উন্নয়ন প্রকল্পের বিভাজন নিয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে ইউপি চেয়ারম্যানগণের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে। গত তিন মাস ধরে তিনি উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় উপস্থিত থাকেন না। দ্বন্দ্ব নিরসনে উভয়পক্ষকে নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। এ কারণে উন্নয়ন কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এ বিষয়টি বগুড়া জেলা প্রশাসক মহোদয়কে জানানো হয়েছে।
ধুনট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই খোকন বলেন, অনাস্থা প্রস্তাবের বিষয়টি আমার জানা নেই। অনাস্থা প্রস্তাব তোলার মতো কোনো ঘটনাও ঘটেনি। গত ডিসেম্বর মাসে উপজেলা পরিষদের মাসিক সভা করেছি। পৌরসভার নির্বাচনে ব্যস্ত থাকায় জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসের সভায় উপস্থিত থাকতে পারিনি। আগামী জুন মাস পর্যন্ত সবগুলো প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় আছে। এসব বিষয়ে আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ গুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।