সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে দুই ভাই বিয়ে করেছেন উখিয়া ক্যাম্পের দুই রোহিঙ্গা বোনকে। দুজনের দুই শিশুসন্তানও রয়েছে। এক রোহিঙ্গা আত্মীয়সহ এই দম্পতিকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) তাদের আটক করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রপুর গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে ফারুক মিয়া (২৬) তিন বছর আগে ২০১৭ সালে উখিয়া ক্যাম্পের রোহিঙ্গা মৃত ইব্রাহিম আলীর মেয়ে সুপাইয়া বেগমকে (২০) বিয়ে করেন। বিয়ের পর সুপাইয়ার বোন রুবিনারও যাতায়াত ছিল ফারুকদের বাড়িতে। পরে রুবিনা আক্তারকেও (১৮) বিয়ে করে ফারুকের ভাই মোবারক হোসেন (২১)। কাজী বা রেজিস্ট্রি ছাড়াই স্থানীয় আলেম এই দুই বিয়ে পড়ান।
ফারুক ও সুপাইয়া দম্পত্তির ফরহাদ হোসেন নামের ৬ মাস বয়সী এবং মোবারক ও রবিনা আক্তারের রিফাত হোসেন নামের ৪ মাস বয়সী শিশুসন্তান রয়েছে।
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ খবর পায় টাঙ্গুয়ার হাওরপাড়ের এই এলাকায় রোহিঙ্গা তরুণ সুপাই মিয়া (২২) ঘোরাঘুরি করছেন। পরে গভীর রাতে পুলিশ তাকে আটক করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, ইন্দ্রপুর গ্রামে সুপাইয়ের দুই ফুফু রয়েছেন। তাদের বাড়িতেই সুপাই এসেছেন। পরে এই দম্পত্তিসহ পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ তরফদার পাঁচজন আটকের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘দুই রোহিঙ্গা তরুণীকে বিয়ে করেছেন ইন্দ্রপুর গ্রামের দুই সহোদর। তাদের দুই শিশুসন্তানও রয়েছে। তাদের আত্মীয় রোহিঙ্গা তরুণসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিজানুর রহমান রোহিঙ্গাদের আটকের কথা স্বীকার করেন। জিজ্ঞাসাবাদের আগে এর বেশি তথ্য জানানো যাবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।