কক্সবাজার পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান মাবুর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার পৌরসভার গেটে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলার প্রতিবাদে কক্সবাজার জেলাজুড়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে বন্ধ রাখা হয়েছে জেলা শহরের সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সম্প্রতি কক্সবাজার পৌরসভার পক্ষ থেকে লাইসেন্সবিহীন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা (টমটম) চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। এতে বেশ কিছু লাইসেন্সবিহীন টমটমচালককে আটক করে ট্রাফিক পুলিশ।
এর জের ধরে টমটম মালিক সমিতির নেতার পরিচয়ে রুহুল কাদের মানিকের নেতৃত্বে ২০-৩০ জন বখাটে কক্সবাজার পৌরসভার গেটে হইচই শুরু করে।
এ সময় কক্সবাজার পৌরসভার প্যানেল মেয়র, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগ এবং জেলা যুবলীগের কয়েকবারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী মাবু পরিষদ থেকে বের হয়ে তাদের শান্ত হওয়ার অনুরোধ জানান।
এ সময় রুহুল কাদের মানিকের নেতৃত্বে বেপরোয়া হামলা চালানো হয়। এতে প্যানেল মেয়র মাহাবুব গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। পাশাপাশি হামলাকারী মানিকসহ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন স্থানীয়রা।
এদিকে জেলার জনপ্রিয় নেতা ও প্যানেল মেয়র মাবুর ওপর হামলার ঘটনা জেলাজুড়ে ছড়িয়ে পড়লে সর্বত্র প্রতিবাদের ঝড় উঠে। কিছুক্ষণের মধ্যেই হাসপাতাল, রাস্তা, পৌরসভা এলাকায় লোকে-লোকারণ্য হয়ে যায়। হাসপাতালে আহত মাবুকে দেখতে হাজার হাজার নেতাকর্মী, ব্যবসায়ী ও সর্বস্তরের লোকজন ভিড় জমান।
পাশাপাশি মহেশখালী, চকরিয়া, টেকনাফ, পেকুয়া, ঈদগাঁও, কুতুবদিয়া, উখিয়া, রামু উপজেলাসহ জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া হামলার পরপরই প্রতিবাদ সভার ডাক দেয় জেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ এবং কক্সবাজার পৌর পরিষদ। কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নজিবুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক উজ্জল করের পরিচালনায় কক্সবাজার পৌরসভার সামনে আনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগ, পৌর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ব্যবসায়ী ও সর্বস্তরের মানুষ যোগদান করে এবং বক্তব্য রাখেন।
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে সর্বস্তরের লোকজন জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় কয়েক দফায় বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলে অন্তত কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেন। পাশাপাশি প্রতিবাদে জেলা শহরের সর্বস্তরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়।
সদর মডেল থানার ওসি মনিরুল গিয়াস বলেন, প্যানেল মেয়রের ওপর হামলার ঘটনায় এখনও কেউ অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।