২০০৩ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের প্রথম ম্যাচ ছিল জিম্বাবুয়ের হারারেতে। ওই সময় যুক্তরাজ্য সরকার ক্রিকেট দলকে জিম্বাবুয়ে ম্যাচ বয়কট করার আহ্বান জানায়। প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার বলেছিলেন, ‘আমরা ক্রিকেট কর্তৃপক্ষকে স্পষ্ট করেই বলেছি, তাদের জিম্বাবুয়েতে যাওয়া উচিত হবে না। আশা করি, তারা আমাদের পরামর্শ আমলে নেবে। তবে যাওয়া না যাওয়ার সিদ্ধান্তের ভার ওদেরই।
টেলিগ্রাফের খবরে বলা হয়, ওই সময় কেপটাউনের কালিনান হোটেলে জিম্বাবুয়ে সফর নিয়ে বৈঠকে বসেছিল ইংল্যান্ড দল। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে যুক্তরাজ্য সরকারের ব্যবসা-বাণিজ্য বহাল থাকলেও ক্রিকেটারদের খেলতে মানা করায় চাপে ছিলেন ক্রিকেটাররা। কিছু খেলোয়াড় কেঁদেও ফেলেছিলেন। শেষ পর্যন্ত নাসের হুসেইনের নেতৃত্বাধীন দল জিম্বাবুয়েতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
এ ক্ষেত্রে ইংল্যান্ডের ভরসা ছিল, ৭ দলের গ্রুপে এক ম্যাচ ওয়াকওভারের দিলেও পরের ধাপে যেতে সমস্যা হবে না। কিন্তু ইংল্যান্ড তাদের বাকি ৫ ম্যাচের ৩টিতে জিতলেও সুপার সিক্সে জায়গা করতে পারেনি। টেলিগ্রাফ লিখেছে, এ ঘটনার পর ইসিবির তৎকালীন দায়িত্বশীলরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, ক্রিকেটারদের খেলা না খেলার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরিস্থিতিতে ঠেলে দেওয়া হবে না।
তাই এটা স্পষ্ট যে নাসের হুসেইনদের মতো জস বাটলারদের এবার আফগানিস্তান ম্যাচ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে না।