1. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  2. [email protected] : Maharaj Hossain : Maharaj Hossain
  3. [email protected] : Rajib Ahmed : Rajib Ahmed
  4. [email protected] : অনলাইন : Renex অনলাইন
হয়রানি করতেই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা : আদালতের পর্যবেক্ষণ - Dainik Deshbani
শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন

হয়রানি করতেই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা : আদালতের পর্যবেক্ষণ

Maharaj Hossain
  • বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

রাজনৈতিক কারণে এবং হয়রানি করার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও অপরদের নাইকো মামলায় জড়ানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আদালত।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) নাইকো দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার আগে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলমের আদালত পর্যবেক্ষণে এ কথা বলেন।

আদালত খালেদা জিয়াসহ ৮ জনকে মামলা থেকে খালাস দেন। নাইকো দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করতে এ দিন ১১টা ২৪ মিনিটে বিচারক এজলাসে ওঠেন।

এ সময় বিচারক বলেন, প্রশ্ন হতে পারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে কীভাবে আসামির আত্মপক্ষ শুনানি করা হচ্ছে। ডিএলআরের ১৭ থেকে ২১ পর্যন্ত এ বিষয়ে বলা আছে। কোনো আসামি আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরায় থাকলে তার অনুপস্থিতিতে আত্মপক্ষ শুনানি করা যায়।

আবার রায়ও দেওয়া যায়। সে অনুযায়ী রায় দেওয়া হচ্ছে।

পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেছেন, একই ধরনের মামলা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও ছিল। যেহেতু এ মামলা চলেনি, তবুও এ মামলার ফুল ট্রায়াল হয়েছে। আসামি সেলিম ভূঁইয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এর আগে তিনি চার দিনের রিমান্ডে ছিল। তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায় করা হয়। পরে অবশ্য তা প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়। সেখানেও বলেছেন তাকে শারীরিক, মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে।

মামলা তেজগাঁও থানার। কিন্তু তাকে রাখা হয় গুলশান থানায়। সেখানে নির্যাতনের পর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। প্রসিকিউশনের পক্ষকে ডিনাই করছে।

তাদের এটা জানাও নাই। রেকর্ডে দেখা গেছে, তাকে যে রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল, বহির্বিভাগের টিকিটও আছে। তাকে বাইরে থেকে ওষুধও কিনে দেয়াও হয়, এর রসিদও আছে।

তিনি বলেন, ‘সেলিম ভূঁইয়াকে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করে ফোর্সগুলি ১৬৪ নেওয়া হয়েছে। সে কারণে এই ১৬৪ কে সত্য বলার সুযোগ নেই। এর উদ্দেশ্য হলো, গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, কাশেম শরীফসহ অন্যদের জড়িত করার জন্য কিন্তু জোরপূর্বক এ ১৬৪ গ্রহণ করা হয়েছে। রাজনৈতিক কারণে এবং হয়রানি করার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের জড়িত করা হয়েছে। পরে আদালত তাদের খালাসের রায় দেন।

মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। তার পক্ষে আইনজীবী হাজিরা দেন। জামিনে থাকা অপর আসামিরা আদালতে হাজির হন। এদিকে সব আসামি খালাস পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনা হয় মামলায়।

২০১৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে এ মামলায় চার্জশিট দাখিল করা হয়। আসামিদের মধ্যে তিনজন মারা গেছেন। গত ৫ ফেব্রুয়ারি মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। আজ (১৯ ফেব্রুয়ারি) মামলার রায় দিলেন বিচারক।

শেয়ার:
আরও পড়ুন...
স্বত্ব © ২০২৫ দৈনিক দেশবানী
ডিজাইন ও উন্নয়নে - রেনেক্স ল্যাব