সুইডেনে পাকিস্তান দূতাবাসের সামনে একটি বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার হওয়া এ বিক্ষোভে বিক্ষোভকারীরা আফগানিস্তানে প্রক্সি যুদ্ধে পাকিস্তানের জড়িত থাকার অভিযোগ করে। দেশটির একটি সরকারি বিবৃতি অনুসারে, আফগানিস্তান থেকে আসা ৫০ থেকে ৬০ জনের একটি দল সুইডেনে পাকিস্তান দূতাবাসের সামনে একটি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করেছে। এতে স্লোগান দেওয়া হয় ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রক্সি যুদ্ধ পরিচালনার অভিযোগ করা হয়। পাকিস্তানবিরোধী বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ধারণ করে আফগান বিক্ষোভকারীরা। পরে সুইডিশ পুলিশ বিক্ষোভকারীদের নিয়ে যায়।
বিক্ষোভে তারা ইংরেজি, সুইডিশ, উর্দু, পশতু এবং দরি (পার্সিয়ান) ভাষায় সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা দেয়, সেখানে তারা অভিযোগ করেন, পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই) তালেবানকে সমর্থন করছে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘আফগানিস্তানে যুদ্ধ বন্ধ করুন’, ‘আফগানদের হত্যা বন্ধ করুন’ এবং ‘তালেবানকে সমর্থন করা বন্ধ করুন’ লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করেন। বিক্ষোভকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ শেষের আগে দূতাবাসের একজন কর্মকর্তার কাছে পাকিস্তান রাষ্ট্রদূতকে লেখা একটি চিঠি হস্তান্তর করে।
এর আগে, আফগানপ্রবাসীরা আফগানিস্তানে তালেবানকে সমর্থন করার জন্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটন, ব্রাসেলস, ডেনমার্ক, জার্মানি এবং যুক্তরাজ্যের শহরে বিক্ষোভ করেছে। তারা তালেবানকে পাকিস্তানের সমর্থন এবং আফগান বিষয়ে হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়। তারা পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে ১ জুলাই আফগান দূত নজিবুল্লাহ আলিখিলের মেয়ে সিলসিলা আলিখিলের অপহরণের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ করে।
যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে বিদেশি বাহিনী প্রত্যাহার করায় তালেবান বেসামরিক নাগরিক এবং আফগান প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ বাড়িয়েছে। তা ছাড়া সিলসিলা আলিখিলের অপহরণের পর থেকে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। এর পরে, কাবুল ইসলামাবাদ থেকে তার রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠায় ও দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি দাবি করে। এছাড়াও, মে থেকে, তালেবানরা ইরান, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান এবং পাকিস্তানের সঙ্গে আফগানিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
সূত্র : এএনআই।