1. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  2. [email protected] : Maharaj Hossain : Maharaj Hossain
  3. [email protected] : Rajib Ahmed : Rajib Ahmed
  4. [email protected] : অনলাইন : Renex অনলাইন
সঙ্কটে পোশাক খাত - Dainik Deshbani
শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:২০ পূর্বাহ্ন

সঙ্কটে পোশাক খাত

নিজস্ব সংবাদদাতা
  • সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারিতে সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছে রফতানি আয়ের প্রধান ক্ষেত্র তৈরি পোশাক খাত। মহামারির প্রথম ঢেউয়ের ধাক্কা সামলে উঠে দাড়াঁতে শুরু করলেও দ্বিতীয় ঢেউ সামলে উঠতে পারেনি এই খাত। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অব্যাহত লোকসানের কারণে তাদের পথে বসার উপক্রম হয়েছে। একইসঙ্গে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সহসাই ভালো পরিস্থিতির আশা দেখছেন না এ খাতের ব্যবসায়ীরা।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উন্নত অনেক দেশের মতো বাংলাদেশে করোনা টিকাদান কর্মসূচির সফলতা, ফের প্রণোদনার ব্যবস্থা করা ও সরকারের জরুরি পদক্ষেপ পোশাক খাতকে গভীর খাত থেকে টেনে তুলতে পারে।

কারখানা খোলা-বন্ধ নিয়ে জটিলতা
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর দ্রুতই ভাইরাসটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্তের কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর। প্রকোপ ঠেকাতে ২৬ মার্চ থেকে প্রথম দফায় ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। সাধারণ ছুটি এপ্রিলে বাড়লে পোশাক মালিকদের দুইটি সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর সিদ্ধান্তহীনতায় জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

অনেক কারখানাই সে সময় চালু ছিল। চাকরি বাঁচাতে অনেক শ্রমিক ঢাকায় ফিরতে থাকেন। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় সর্বত্র সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। মে মাসে আবার সাধারণ ছুটি বাড়লেও এপ্রিলের শেষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলে যায় বেশিরভাগ কারখানা।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে টালমাটাল পোশাক খাত
দেশে সংক্রমণ শনাক্তের প্রথম মাস মার্চ থেকেই পোশাক রফতানি ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিত হতে থাকে। এপ্রিলের শুরুতে প্রায় ৩০০ কোটি ডলারের ক্রয়াদেশ স্থগিত হয়। জুনের শুরুতে পোশাক কারখানাগুলো সীমিত আকারে তাদের কার্যক্রম চালু করলে স্বস্তি আসে এ খাতে। তবে বৈশ্বিক করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আবার বাতিল হতে থাকে অর্ডার।

এ বিষয়ে ফতুল্লা অ্যাপারেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ’র পরিচালক ফজলে শামীম এহসান জাগো নিউজকে বলেন, ‘দ্বিতীয় ধাক্কায় আমরা অনেক বেশি ইফেক্টেড হয়েছি। আমাদের অর্ডার কমে গেছে। করোনার প্রথম ধাক্কায় কিছু অর্ডার হোল্ড হয়েছিল, কিন্তু পরে ক্রেতারা সেগুলো পুনরায় দেয়। কিন্তু সেপ্টেম্বরে দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর পরিস্থিতি খারাপ হয়ে গেছে। গার্মেন্টস এমন একটা ব্যাপার, ফ্লোরে যদি কমপক্ষে ৯০ শতাংশ অর্ডার না থাকে, তাহলে লোকসানে চলতে হয়। আমাদের ফ্যাক্টরিগুলো সেপ্টেম্বরের শেষ থেকেই লসে চলছে।’

প্রভাব রফতানিতে
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত বছর সব মিলিয়ে রফতানি কমেছে ৫৭৩ কোটি ডলার বা প্রায় ৪৮ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে পোশাক রফতানি কমে গেছে ৫৬০ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলারের, যা স্থানীয় মুদ্রায় প্রায় ৪৭ হাজার ৬১৪ কোটি টাকা।

শেয়ার:
আরও পড়ুন...
স্বত্ব © ২০২৫ দৈনিক দেশবানী
ডিজাইন ও উন্নয়নে - রেনেক্স ল্যাব