1. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  2. [email protected] : Maharaj Hossain : Maharaj Hossain
  3. [email protected] : Rajib Ahmed : Rajib Ahmed
  4. [email protected] : অনলাইন : Renex অনলাইন
রমজান ঘিরে এখনই প্রস্তুতি বেড়েছে পণ্যের আমদানি - Dainik Deshbani
রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবর
রিজভীর অভিযোগ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে শেখ হাসিনাকে ক্ষমা করতে চায় জামায়াত কোরিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত,পাখির আঘাত বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছিল নিয়ন্ত্রণ টাওয়ার সুখবর, সৌদিতে ব্যবসার মালিকানা পাবেন প্রবাসীরা কীভাবে পাওয়া যাবে বিপিএল টিকিটে, দাম কত, কোথায়? নতুন সিদ্ধান্তে স্বাস্থ্যসেবায় ফিরছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ইন্টার্ন চিকিৎসকরা নতুন সিদ্ধান্তে স্বাস্থ্যসেবায় ফিরছেন ক্ষমা চাইলেন পুতিন, আজারবাইজানের উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় শ্বশুরের মুখোমুখি হবেন না বলে খুশি, আফ্রিদি তামিমের ডাকেই বিপিএলে সরকার ইচ্ছা করে নির্বাচন বিলম্ব করছে: মির্জা ফখরুল রমজান ঘিরে এখনই প্রস্তুতি বেড়েছে পণ্যের আমদানি

রমজান ঘিরে এখনই প্রস্তুতি বেড়েছে পণ্যের আমদানি

Rajib Ahmed
  • শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪

আর মাত্র মাস দুয়েক পরেই শুরু হতে যাচ্ছে মুসলমানদের সিয়াম সাধনার মাস রমজান। ইফতার ও সেহরিতে ধর্মীয় নানা রীতিনীতির সঙ্গে ঐতিহ্যের সমন্বয়ে এই সময়ে যৎসামান্য পরিবর্তন ঘটে খাদ্যাভ্যাসের। দেশে চাহিদা বাড়ে ছোলা, খেজুর, ডাল, পেঁয়াজ, চিনি, ভোজ্যতেলসহ নানা পণ্যের। পাশাপাশি দৌড়ঝাঁপ বাড়ে ব্যবসায়ীদেরও। ভোক্তার বাড়তি চাহিদার জোগান দিতে প্রস্তুতি নেন ব্যবসায়ীরা। এবারও ঠিক তাই হচ্ছে, অনেক আগে থেকেই রমজানের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। দেশের বৃহত্তর পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে পণ্য আমদানি ও গুদামজাতকরণ শুরু করছেন তারা। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে গত পাঁচ মাসে সাড়ে ছয় লাখ টনেরও বেশি খালাস হয়েছে মসলাজাতীয় পণ্য। ফলে মসলার দাম আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে খাতুনগঞ্জে। অন্যদিকে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা আওয়ামীপন্থি ব্যবসায়ী ও নেতারা না থাকায় পণ্য আমদানির সুযোগ পাচ্ছেন ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। বাজারে শিগগিরই এর সুফল মিলবে, বলছেন তারা। তবে ব্যাংকের এলসি খোলায় এখনো বৈষম্যের অভিযোগ করেছেন ছোট ব্যবসায়ীরা।

বৃহস্পতিবার খাতুনগঞ্জ ঘুরে দেখা গেছে, গেল দুই সপ্তাহের ব্যবধানে মণপ্রতি (৩৭ দশমিক ৩২ কেজি) সাড়ে চারশ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে ছোলার দাম। একই সময়ে মণপ্রতি ১০০ টাকা কমেছে চিনির দাম। সপ্তাহ দুয়েক আগে মণপ্রতি ৪৩শ টাকায় বিক্রি হওয়া ছোলা এখন ৩৮শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পাইকারিতে। ৪৩শ ৩০ টাকায় বিক্রি হওয়া চিনি এখন বিক্রি হচ্ছে ৪২শ ৩০ টাকায়। একই সময়ে দাম কমেছে পেঁয়াজ, মসুর ডাল ও মটর ডালের। গেল ১৯ ডিসেম্বর পাইকারিতে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া পেঁয়াজের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে ১৫ টাকা। পাইকারিতে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পণ্যটি। দুসপ্তাহ আগে ৬০ টাকায় বিক্রি হওয়া মটর ডাল কেজিতে ৩-৪ টাকা কমে ৫৬-৫৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পাইকারিতে। তবে মাঝারি মসুরের দাম কমলেও বেড়েছে চিকন মসুরের। দুসপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৩ টাকা কমে মাঝারি মসুর ৯৭ টাকায় এবং ৬ টাকা বেড়ে ১২৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে চিকন মসুর।

এদিকে হটাৎ করে আবারও চড়া হয়ে উঠেছে খোলা তেলের বাজার। সপ্তাহখানেক আগেও খাতুনগঞ্জে কমে এসেছিল পণ্যটির দাম। গত ১২ ডিসেম্বর লিটারপ্রতি খোলা সয়াবিনে ৫ টাকা ৩৫ পয়সা বেড়ে ১৭১ টাকা ৪৮ পয়সা ও পাম অয়েলে ১ টাকা ৮৭ পয়সা বেড়ে ১৬৩ টাকা ৪৫ পয়সায় বিক্রি হয়। তবে সপ্তাহখানেক আগে পাইকারি বাজারটিতে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল আগের ১৭১ টাকা ৪৮ পয়সায় বিক্রি হলেও দাম কমে প্রতি লিটার পাম অয়েল ১৫২ টাকা ৭৩ পয়সায় লেনদেন হয়েছিল। বর্তমানে সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন করে লিটারপ্রতি ২ টাকা ৬৮ পয়সা বেড়ে সয়াবিন তেল ১৭৪ টাকা ১৬ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে। তবে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে পাম অয়েলের দাম, লিটারপ্রতি ১০ টাকা ৭২ পয়সা বেড়ে ১৬৩ টাকা ৪৫ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি এই বাজারে প্রতি মণ চিনিতে ৫০ টাকা বেড়েছে। গত ২৯ অক্টোবর প্রতি মণ চিনি ৪ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মাসের ব্যবধানে ১০০ টাকা কমে গত ১ ডিসেম্বর প্রতি মণ চিনি বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ৩০০ টাকায়। গত ১২ ডিসেম্বর আরও ৫০ টাকা কমে প্রতি মণ চিনি লেনদেন হয়েছে ৪ হাজার ২৫০ টাকায়। তবে বর্তমানে আবার নতুন করে ৫০ টাকা বেড়ে প্রতি মণ চিনি বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৩০০ টাকায়।

খাতুনগঞ্জের ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘সপ্তাহখানেক আগে ভোজ্যতেলের দাম কমলেও এখন আবার কিছুটা বেড়েছে। সামনে রোজা আসছে। ভোজ্যতেল, চিনির আমদানি বাড়ানো প্রয়োজন। আমদানি বাড়ানো না গেলে সামনে দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

তবে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার-সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন বলেন, রমজানে পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। ব্যাংকের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর ব্যাপকহারে এলসি খোলা শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। রমজানের সব ধরনের পণ্য ব্যাপকভাবে আমদানি হচ্ছে। তাই এবারের রমজানে কম থাকবে সবকিছুর দাম। সরবরাহ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হওয়ায় দামও কমছে বেশ। কয়েকদিনের মধ্যে পেঁয়াজ, চিনি, ছোলা ও ডালের দাম কমেছে। অন্যান্য পণ্যের দামও কমতির দিকে।

অন্যদিকে চট্টগ্রাম অঞ্চলে বাজার তদারকির জন্য গঠিত টাস্কফোর্সের আহ্বায়ক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামরুজ্জামান জানান, টাস্কফোর্সের নিয়মিত কার্যক্রম তো চলছেই। রমজানে বাজার তদারকি কার্যক্রম নিশ্চয় আরও জোরদার হবে। দ্রব্যমূল্যের পরিস্থিতি বিবেচনায় নগর ও উপজেলায় সুলভমূল্যে বাজার পরিচালনার পরিকল্পনা আছে।

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে সাড়ে ৬ লাখ টন মসলা খালাস: চট্টগ্রাম উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের তথ্যমতে, গত পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ৬ লাখ ৬৯ হাজার ৩০১ টন মসলা পণ্য খালাস হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে গত পাঁচ মাসে ১ হাজার ১১৪ টন এলাচ, ৫ হাজার ৪২৬ টন দারুচিনি, ৫৭২ টন লবঙ্গ, ৭৬৬ টন জিরা, ১৫১ টন জয়ত্রী, ২০৫ টন জায়ফল, ৫৮৯ টন গোলমরিচ, ১৭ হাজার ২৭ টন আদা, ৫৫ হাজার ৫৬০ টন রসুন, ১৩ হাজার ২৮২ টন পেঁয়াজ, ৩ হাজার ১৮১ টন হলুদ খালাস করেছেন ব্যবসায়ীরা।

দপ্তরটির উপপরিচালক ড. মো. শাহ আলম বলেন, রোজা উপলক্ষে ভোগ্যপণ্য আমদানি করছেন ব্যবসায়ীরা। রোজাকে ঘিরে ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছোলা, মসলা ও ফলসহ বিভিন্ন ভোগ্যপণ্য বেশি আমদানি হবে। আশা করছি ভোগ্যপণ্যের সরবরাহ আরও বাড়বে। হামিদুল্লাহ মিয়া মার্কেট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস বলেন, ‘খাতুনগঞ্জে আদা, রসুন, পেঁয়াজের বাজার আগের তুলনায় অনেক কমেছে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে, আমাদের দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজও বাজারে আসতে শুরু করেছে।

এলসি নিয়ে এখনো বৈষম্যের অভিযোগ ছোট ব্যবসায়ীদের: ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রায় দেড় দশক ধরে খাতুনগঞ্জে আমদানি বাণিজ্য অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করত এস আলম, টি কে, বিএসএম, সিটিসহ কয়েকটি গ্রুপ। সর্বশেষ জুলাই-আগস্ট মাসে ৬০ হাজার টন অপরিশোধিত চিনি আমদানি করে এস আলম। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে বেশ কয়েকটি ছোট ও মাঝারি প্রতিষ্ঠান অপরিশোধিত চিনি আমদানি করেছে। ভোজ্যতেল, ডাল, পেঁয়াজ, গমসহ অন্যান্য পণ্য আমদানির ক্ষেত্রেও এসেছে পরিবর্তন। তবে ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ব্যাংকগুলো এখনো এলসি খোলায় অসম-নীতি অনুসরণ করছে। সব আমদানিকারকের জন্য এলসি মার্জিন হার সমান করার কথা বলছেন তারা। আল হারামাইন ট্রেডার্স স্বত্বাধিকারী জাকের সওদাগর বলেন, ৫০০ কনটেইনারের এলসি মার্জিন কম কিন্তু পাঁচ কনটেইনারের এলসি মার্জিন বেশি। অর্থাৎ আমি সমান সুযোগ পাচ্ছি না।

শেয়ার:
আরও পড়ুন...
স্বত্ব © ২০২৪ দৈনিক দেশবানী
ডিজাইন ও উন্নয়নে - রেনেক্স ল্যাব