1. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  2. [email protected] : Maharaj Hossain : Maharaj Hossain
  3. [email protected] : Rajib Ahmed : Rajib Ahmed
  4. [email protected] : অনলাইন : Renex অনলাইন
মোবাইল ব্যাংকিং‌য়ে ৯০ হাজার কোটি টাকা লেনদেন! - Dainik Deshbani
শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:১৬ পূর্বাহ্ন

মোবাইল ব্যাংকিং‌য়ে ৯০ হাজার কোটি টাকা লেনদেন!

নিজস্ব সংবাদদাতা
  • শনিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২২

করোনাভাইরাসের কারণে ভিড় এড়াতে বিকাশ, রকেট, নগদের মতো মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠানের ওপর মানুষের নির্ভরশীলতা বেড়েছে। ফলে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়িক প্রয়োজন, সব ক্ষেত্রেই বাড়ছে মোবাইলের লেনদেন।

তাৎক্ষণিকভাবে দ্রুত শহর কিংবা গ্রামে সর্বত্রই টাকা পাঠানোর সুবিধার কারণে দেশে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের জনপ্রিয়তা ক্রমেই বাড়ছে। যার কারণে প্রতিদিনই বাড়ছে গ্রাহক ও লেনদেনের পরিমাণ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মোবাইল আর্থিক সেবার (এমএফএস) হালনাগাদ পরিসংখ্যান তথ্য বলছে, গেল নভেম্বর মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহকরা প্রায় ৬৮ হাজার কোটি টাকার লেনদেন করেছেন। প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ২ হাজার ২৬৬ কোটি টাকা। তবে ডাক বিভাগের সেবা নগদের তথ্য এখানে হিসাব হয়নি। নগদের তথ্য যোগ করলে দেনদেন মোট লেনদেন আরও প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা বেড়ে যাবে। সেই হিসেবে এমএফএস এ দেলনদেন দাঁড়াবে ৯০ হাজার কোটি টাকা, আর দৈনিক দেনদেন হচ্ছে ৩ হাজার কোটি টাকা।

সং‌শ্লিষ্টরা জানান, তাৎক্ষণিকভা‌বে দ্রুত শহর কিংবা গ্রামে, গ্রাম থেকে শহর সর্বত্রই টাকা পাঠানোর সুবিধার কারণে দেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। ফলে গ্রাহক সংখ্যার স‌ঙ্গে বাড়‌ছে লেনদেনের পরিমাণ। এছাড়া করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে মানুষ সরাসরি স্বাক্ষাতে নগদ লেননেদের চেয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ক্যাশলেস লেনদেন বেশি নিরাপদ ও স্বাচ্ছ্ন্দ্যবোধ করছে। পাশাপাশি এখন শ্রমিকদের বেতন বোনাস, সরকারের সামাজিক সুরক্ষার বিভিন্ন ভাতা ও অনুদান মোবাইল ব্যাংকিংয়ে যাচ্ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে মোট ১৩টি ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সঙ্গে জড়িত আছে। ২০২১ সালের নভেম্বর মাস শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়ায় ১০ কোটি ৯৬ লাখ ৫৪ হাজারে। এর মধ্যে গ্রামে ৬ কোটি ১৭ লাখ এবং শহরে ৪ কোটি ৭৯ লাখ গ্রাহক। এছাড়া নিবন্ধিতদের মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি এবং মহিলা গ্রাহক প্রায় ৫ কোটি রয়েছে। আর আলোচিত সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৬ হাজার ৮৫৪ জনে।

এমএফএস এ গেল নভেম্বরে মোট ৩২ কোটি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার ৬৭২টি লেনদেনের মাধ্যমে ৬৭ হাজার ৯৬৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে।

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে শুধু লেনদেন নয়, যুক্ত হচ্ছে অনেক নতুন নতুন সেবাও। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল অর্থাৎ সেবা মূল্য পরিশোধ, কেনাকাটার বিল পরিশোধ, বেতন-ভাতা প্রদান, বিদেশ থেকে টাকা পাঠানো অর্থাৎ রেমিট্যান্সসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা দেওয়া হচ্ছে।

আলোচিত মাসজুড়ে মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবগুলোতে টাকা জমা পড়েছে ২১ হাজার ২০৭ কোটি টাকা। এ সময়ে উত্তোলন করেছে ১৮ হাজার ৪৪ কোটি টাকা।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বর মাসে এমএফএসে ব্যক্তিহিসাব থেকে ব্যক্তিহিসাবে অর্থ স্থানান্তর হয়েছে ১৯ হাজার ২৫০ কোটি টাকা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা বিতরণ হয়েছে ২ হাজার ৪৮৮ কোটি টাকা। বিভিন্ন সেবার বিল পরিশোধ করা হয়েছে ১২৫০ কোটি টাকা। কেনাকাটার বিল পরিশোধ করা হয়েছে ৩০৫০ কোটি টাকা।

২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১১ সালের ৩১ মার্চ বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালুর মধ্য দিয়ে দেশে মোবাইল ফিন্যানশিয়াল সার্ভিসেসের যাত্রা শুরু হয়। এর পরপরই ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে বিকাশ। বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার বাজারের সিংহভাগই বিকাশের দখলে।

শেয়ার:
আরও পড়ুন...
স্বত্ব © ২০২৫ দৈনিক দেশবানী
ডিজাইন ও উন্নয়নে - রেনেক্স ল্যাব