1. msuzon.du@gmail.com : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  2. maharaj.cu@gmail.com : Maharaj Hossain : Maharaj Hossain
  3. rajib.du1415@gmail.com : Rajib Ahmed : Rajib Ahmed
  4. support@renexlimited.com : অনলাইন : Renex অনলাইন
বেঙ্গল গ্রুপ চেয়ারম্যানের গ্রেফতার নিয়ে তদবির: প্রশাসনে চাপ ও বিভ্রান্তি, আইনের শাসন প্রশ্নবিদ্ধ - Dainik Deshbani
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবর
শাস্তি বাড়ছে ভুয়া মামলার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে ব্যাট-বলের লড়াই চায় বিসিবি আইন পাস করে ইসরায়েলিদের নিষিদ্ধ করল মালদ্বীপ ধানমন্ডিতে গাড়ি থেকে চাঁদা আদায়, অভিযুক্ত সেই যুবক আটক লোহিত সাগরে হেরে গেল যুক্তরাষ্ট্র! নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দামের বাড়িতে আগুন জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা(NSI-র ) সাবেক ডিজি টিএম জোবায়েরের সীমাহীন দুর্নীতি: নিশ্চুপ দুদক। পাসপোর্ট বাতিল নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অবহেলা সন্দেহজনক রামপুরায় কফি হাউজে তরুণীকে মারধর, ম্যানেজারসহ দু’জন আটক রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ভারতীয় ওষুধ কোম্পানির গুদাম ধ্বংস আ.লীগ নেতাকর্মীদের হামলায় বিএনপির ৬ নেতা আহত

বেঙ্গল গ্রুপ চেয়ারম্যানের গ্রেফতার নিয়ে তদবির: প্রশাসনে চাপ ও বিভ্রান্তি, আইনের শাসন প্রশ্নবিদ্ধ

নিজস্ব সংবাদদাতা
  • শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৫

আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য এবং বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোরশেদ খানের সাম্প্রতিক গ্রেফতারকে ঘিরে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিভিন্ন দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত এই প্রভাবশালী ব্যক্তিকে গ্রেফতারের পর সরকারের উচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপে প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো চরম বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়েছে।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, প্রধান উপদেষ্টার একজন বিশেষ সহকারী সরাসরি সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর চাপ প্রয়োগ করছেন মোরশেদ খানের জামিন ও ন্যূনতম ভোগান্তি নিশ্চিত করতে। এই তদবিরকে ‘দুর্ভাগ্যজনক ও হতাশাজনক’ বলে অভিহিত করেছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা।

আইনের শাসন না প্রভাবের রাজনীতি?

মোরশেদ খান দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতাসীন মহলের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার গ্রেফতারকে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখলেও, গ্রেফতারের পরপরই যখন সরকারি উচ্চমহল থেকে ‘বিপরীত বার্তা’ আসে, তখন প্রশ্ন উঠে—দেশে আইনের শাসন বলবৎ আছে নাকি রাজনৈতিক সুবিধাভোগীদের জন্য আলাদা বিধান কার্যকর রয়েছে?

একজন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “যদি এভাবে ক্ষমতাধরদের জন্য হস্তক্ষেপ চলতেই থাকে, তাহলে ভবিষ্যতে কোন সংস্থা আর সাহস করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারবে না। এটা ভয়াবহ উদাহরণ হয়ে থাকবে।”

প্রশাসনে হতাশা, ভবিষ্যতের শঙ্কা

এই ধরনের তদবিরমূলক হস্তক্ষেপে প্রশাসনের মনোবল ভেঙে পড়ছে। মাঠপর্যায়ে আইনের শাসন রক্ষা করতে গিয়ে যারা প্রতিদিন প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন, তাদের জন্য এটি একটি মারাত্মক বার্তা—‘আইন সকলের জন্য সমান নয়’।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্ষমতার আস্তিনে লুকিয়ে থাকা দুর্নীতিবাজদের রক্ষায় সরকারি তদবির প্রশাসনিক কাঠামোর ওপর আঘাত হানে এবং জনবিশ্বাসে চিড় ধরে। ফলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরেও চলে যেতে পারে।

ইতোমধ্যে প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা বিষয়ক বিশেষ সহকারী লেঃ জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজের ভাই ডা. আব্দুল হানিফ টাবলু (নির্মাণ ও পেডিয়াট্রিক সার্জন) সিরাজগন্জের সাবেক এমপি আব্দুল আজিজের পক্ষে সরাসরি তদবির করছেন। । যার ব‍্যাপক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জনমনে দেখা যাচ্ছে।

সময়ের দাবি: দৃষ্টান্তমূলক অবস্থান

জনগণের আস্থার ভিত্তিতে গড়া প্রশাসন যেন কোনোভাবেই রাজনৈতিক প্রভাবে নতজানু না হয়, সেটি নিশ্চিত করতেই এখন সময়ের দাবি। যারা ফ্যাসিবাদী সরকারে সুবিধাভোগী হয়ে দুর্নীতি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলে যদি আবার সেই সরকারেরই উচ্চপর্যায়ের তদবির আসে—তবে দেশ এক ভয়াবহ অনিশ্চয়তার দিকে এগোচ্ছে।

শেয়ার:
আরও পড়ুন...
স্বত্ব © ২০২৫ দৈনিক দেশবানী
ডিজাইন ও উন্নয়নে - রেনেক্স ল্যাব