কাবাডি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চায় বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক কাবাডি ফেডারেশন কর্মকর্তারাও তাতে সম্মতি দিয়েছেন। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ভার্চুয়ালি হওয়া আন্তর্জাতিক কাবাডি ফেডারেশনের জরুরি সাধারণ সভার পর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এস এম নেওয়াজ সোহাগ।
আসরের টেলিভিশন স্বত্ব রয়েছে স্টার স্পোর্টসের কাছে। প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে আর্থিক এবং অন্যান্য বিষয় প্রথমে মিলতে হবে। তার ওপর ভিত্তি করেই সিদ্ধান্ত নিতে চান বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের কর্মকর্তারা। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দিতে চান দেশের কাবাডি ফেডারেশন।
‘কাবাডি বিশ্বকাপ আয়োজন করা অনেক বড় বিষয়। কিন্তু আমরা এমন আয়োজন করতে চাই, যার মাধ্যমে বাংলাদেশ লাভবান হতে পারে। আমরা বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চাই, সেই সঙ্গে দেশের কাবাডির উন্নতির পথটাও প্রশস্ত করতে চাই। দুটি বিষয় এক রেখায় মিললে বাংলাদেশ বিশ্বকাপ আয়োজন করবে। যার প্রাথমিক সম্মতি পাওয়া গেছে আন্তর্জাতিক কাবাডি ফেডারেশনের জরুরি সাধারণ সভায়’—বলছেন এস এম নেওয়াজ সোহাগ।
কাবাডি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে প্রয়োজন বিপুল পরিমাণ অর্থ। আন্তর্জাতিক এবং স্থানীয় পৃষ্ঠপোষকতা খাত থেকে অর্থ আহরণ করা সম্ভব। সে সঙ্গে প্রচার স্বত্ব থেকে কী পরিমাণ অর্থ পাওয়া যাবে, তা গুরুত্বপূর্ণ। সব বিষয় বিবেচনার পরই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। তার কথায়, ‘বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য আগেই সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলে আলোচনা করেছি। ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার পরই আমরা আয়োজক হওয়ার বিষয়ে এগিয়েছি। এখন দেখতে হবে এ আসর আয়োজন করলে বাংলাদেশ কতটুকু লাভবান হবে।’
বিশ্বকাপ আয়োজনের সম্ভাব্য সময় চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর। আসরের খেলাগুলো সরাসরি সম্প্রচারের ওপর নির্ভর করছে পৃষ্ঠপোষকতার বিষয়। এখানে স্টার স্পোর্টসের সুবিধাজনক সময়কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির সুবিধাজনক সময়ের সঙ্গে আয়োজকদের পরিকল্পনা মিলতে হবে। দুটি বিষয়ে সমন্বয় করতে গিয়ে বিশ্বকাপ আয়োজনের সময়ও পরিবর্তন হতে পারে।
ভার্চুয়ালি হওয়া আন্তর্জাতিক কাবাডি ফেডারেশনের জরুরি সাধারণ সভায় নতুন ছয় দেশকে সদস্য করা হয়েছে। জার্মানি, কানাডা, তানজানিয়া, আরব আমিরাত, নরওয়ে ও উজবেকিস্তানকে সদস্য করা হয়েছে। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক কাবাডি ফেডারেশনের সদস্য সংখ্যা ৩৫ থেকে ৪১-এ উন্নীত হলো।