1. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  2. [email protected] : Maharaj Hossain : Maharaj Hossain
  3. [email protected] : Rajib Ahmed : Rajib Ahmed
  4. [email protected] : অনলাইন : Renex অনলাইন
জাতি ঐক্যবদ্ধ থাকলে হাসিনাকে দেশে এনে বিচার করা সম্ভব: প্রেস সচিব - Dainik Deshbani
রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:৩৯ পূর্বাহ্ন

জাতি ঐক্যবদ্ধ থাকলে হাসিনাকে দেশে এনে বিচার করা সম্ভব: প্রেস সচিব

Maharaj Hossain
  • শনিবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০২৫
 ইবি প্রতিনিধি: ন্যায়বিচার এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিতে আওয়ামী শাসনামলের গুম, খুন ও গণহত্যার বিচারের কাজ চলছে। আমরা পুরো জাতি যদি এক থাকি, তাহলে হাসিনাকে দেশে এনে বিচার করা সম্ভব হবে। এর জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সকল প্রকার আন্তর্জাতিক প্রেশার ক্রিয়েট করছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, যেভাবে দেশের মানুষ শেখ পরিবারের দাসত্বে পরিণত হয়েছিল তা যেন আগামী ৩০ বছর পর আবারও ফিরে না আসতে পারে সেই সংস্কার করা হচ্ছে। অন্তবর্তীকালীন সরকারের ৪টি কমিশন যেসব রিপোর্ট দিয়েছে এর ভিত্তিতেই কার্যক্রম চলছে। আপনারা কমিশনের রিপোর্টগুলি পড়বেন, হাসিনার দুর্নীতির প্রতিবেদনগুলি পড়বেন। আওয়ামী আমলে আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের নাম উচ্চারণ করলে ঘৃণা লাগতো, কিন্তু এখন বাংলাদেশ অনুপ্রেরণায় পরিণত হয়েছে। দেশে এই পাঁচ মাসে একটা স্থিতিশীলতা আনা হয়েছে। ইকোনমিক গ্রোথ বাড়ছে এবং সামগ্রিকভাবে উন্নত করা হচ্ছে। এছাড়া দেশে অপরাধের হার কমেছে। শেখ হাসিনা যেভাবে তার বাবার খুনিদের খু্ঁজে খুঁজে এনে বিচার করছে আমরাও সেভাবে খুনিদের খুঁজে এনে বিচারের মুখোমুখি করবো।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সাংবাদিক সমিতির আয়োজনে অনুষ্ঠিত জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা ও গণমাধ্যম শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যা করার রাষ্ট্র সংস্কারে আমরা তাই করছি। আপনাদের অনেকের মনে হচ্ছে, যা চাচ্ছি তা হচ্ছে কিনা? তার জবাবে বলবো, আমরা অভূতপূর্ব কাজ করছি। জন-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন হচ্ছে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে তিনি বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। এখানে প্রায় অর্ধভাগ ছাত্রী পড়াশোনা করে তা খুবই ভালো ইমেজ। ডকুমেন্টারিতে দেখলাম আন্দোলনে মেয়েরা নেতৃত্ব দিয়েছে। আন্দোলনে এ বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এই ইমেজ বিশ্বকে জানাতে হবে। ইমেজের সাথে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ জড়িত। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সকল কাঠামো স্বৈরাচারদের নামের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছে তাদের নাম মুছে ফেলতে হবে। সাথে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের যেন ভুলে না যায় তাই শহীদদের নামে সেসব স্থাপনার নামকরণ করতে হবে। শহীদদের ভুলে গেলে তাদের প্রতি অন্যায় করা হবে।
সেমিনারে সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তাজমুল হক জায়িমের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন- উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাংগীর আলম এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও ইবিসাসের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. হোসাইন আল মামুন।
এতে আলোচক হিসেবে ছিলেন বাসসের বিশেষ সংবাদদাতা এস এম রাশিদুল ইসলাম। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রাশিদুজ্জামান।
শেয়ার:
আরও পড়ুন...
স্বত্ব © ২০২৫ দৈনিক দেশবানী
ডিজাইন ও উন্নয়নে - রেনেক্স ল্যাব