তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেফ উু বলেছেন, যদি চীন তাদের ওপর হামলা করে তাহলে শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবেন তারা। এ ধরনের হামলার ঘটনা ঘটতে পারে বলে আগেই উপলব্ধি করতে পেরেছে যুক্তরাষ্ট্র। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দ্বীপটির কাছে চীনের সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি এবং সামরিক মহড়া বেড়ে গেছে। খবর রয়টার্সের।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তাইওয়ানে বারবার সামরিক মহড়া চালিয়েছে চীন। এমনকি এসময় প্রায় প্রতিদিনই তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা শনাক্তকরণ জোনে প্রবেশ করেছে চীনের বিমানবাহিনী। চীন সোমবার জানায়, তাদের একটি বিমানবাহী রণতরী দ্বীপটির কাছাকাছি মহড়া চালাচ্ছে।
নিজের মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের উ বলেন, আমি যতটুকু বুঝতে পারি যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীরা এই অঞ্চলের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে, তাইওয়ানের বিরুদ্ধে চীনের একটি সম্ভাব্য হামলা চালানোর বিপদ তারা স্পষ্টতই দেখতে পেয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা কোনও প্রশ্ন ছাড়াই নিজেদের আত্মরক্ষা এবং যদি আমাদের যুদ্ধ করতে হয় তাহলে আমরা যুদ্ধ করবো। আর যদি শেষ দিন পর্যন্ত আমাদের আত্মরক্ষা করতে হয়, তাহলে আমরা শেষ দিন পর্যন্ত নিজেদের আত্মরক্ষা করবো।
বিশ্ব অঙ্গনে তাইওয়ানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমর্থক এবং অস্ত্র বিক্রেতা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তাইওয়ানের সামরিক বাহিনীকে আধুনিকায়ন করতে বহুদিন ধরেই সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে ওয়াশিংটন। যাতে করে তাইওয়ান একটি ‘সজারু’ হতে পারে। এর ফলে তাইওয়ানে যাতে চীনের হামলা কঠিন হয়ে ওঠে। উ বলেন, আমরা আমাদের সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে এবং প্রতিরক্ষা খাতে আরও ব্যয় করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।