তিন দফা দাবিতে ৩১ ঘণ্টা ধরে গণঅনশন করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা আজ সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করে। ক্যাম্পাসের মূল ফটক, প্রশাসনিক ভবন ও বিভিন্ন অনুষদের ভবনে তাঁরা তালা ঝুলিয়ে দেন।
সেনাবাহিনীর কাছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবিতে এসব কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শিক্ষার্থীরা গণঅনশন কর্মসূচি শুরু করেন।
গতকাল রোববার রাতে অনশনরত অবস্থায় শিক্ষার্থীদের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের অনেকে এখনো বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
গণঅনশনে প্রায় ১৫ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। গতকাল রাত ১০টার সময় গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ন্যাশনাল মেডিকেল হাসপাতালে তাঁদের ভর্তি করা হয়। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে সাতজন শিক্ষার্থীকে সেবা দেওয়া হচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের আরও দুটি দাবি হলো, পুরান ঢাকার বাণী ভবন ও ড. হাবিবুর রহমান হলের স্টিল বেইজড ভবনের কাজ দ্রুত শুরু এবং শেষ করতে হবে। যত দিন অবধি আবাসন ব্যবস্থা না হয় তত দিন পর্যন্ত ৭০% শিক্ষার্থীর আবাসন ভাতা নিশ্চিত করতে হবে।
অনশনরত শিক্ষার্থীরা জানান, বিকেল ৪টার মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা না আসলে তাঁরা সচিবালয় অভিমুখে যাত্রা শুরু করবেন। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে অনশনরত শিক্ষার্থীদের আলোচনায় বসার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। শিক্ষার্থীদের চলমান এই গণঅনশনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিও সর্বাত্মক একাত্মতা পোষণ করেন।