1. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  2. [email protected] : Maharaj Hossain : Maharaj Hossain
  3. [email protected] : Rajib Ahmed : Rajib Ahmed
  4. [email protected] : অনলাইন : Renex অনলাইন
ইসরায়েলের কাছে ৮০০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির পরিকল্পনা জো বাইডেনের - Dainik Deshbani
বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:০৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবর
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পদত্যাগে বাধ্য হলেন দেশের তিন বিভাগে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস দলগুলো বেশি সংস্কার না চাইলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন : প্রেস সচিব ছাত্র আন্দোলনে ১০০ জন পুলিশে চাকরি পাচ্ছেন আহতদের মধ্যে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া সচিবালয়ের গেটে প্রতিদিন ঘন কুয়াশায় বাইরে যাচ্ছেন, সুস্থ ও নিরাপদ থাকতে যেসব সতর্কতা মেনে চলবেন বোলারদের ওপর দিয়ে যাচ্ছে ঝড় তাই বড় বাউন্ডারি চাচ্ছে তামিম ফাঁস হয়েছে গেম চেঞ্জার ছবির নায়ক ও নায়িকা কিয়ারা আদভানির পারিশ্রমিক চট্টগ্রামে পুলিশ পরিদর্শক নেজামকে মারধর, ভিডিও ভাইরাল আল্লাহর ইচ্ছায় ফিলিস্তিনেও ন্যায়ের জয় হবে: এরদোগান

ইসরায়েলের কাছে ৮০০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির পরিকল্পনা জো বাইডেনের

নিজস্ব সংবাদদাতা
  • রবিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২৫

ইসরায়েলের কাছে ৮০০ কোটি ডলার মূল্যের অস্ত্র বিক্রির পরিকল্পনার কথা মার্কিন কংগ্রেসকে জানিয়েছে পররাষ্ট্র দপ্তর। দেশটির একজন কর্মকর্তা বিবিসিকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন।

 

অস্ত্রের এই চালান পাঠাতে হাউস ও সিনেট কমিটির অনুমোদন প্রয়োজন হবে। এ চালানে থাকবে ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবারুদসহ বিভিন্ন ধরনের সমরাস্ত্র। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হোয়াইট হাউস ছাড়ার দুই সপ্তাহ আগে এমন পরিকল্পনার কথা জানানো হলো।

 

গাজায় বিপুল সংখ্যক বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার কারণে ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা না দেওয়ার যে আহ্বান জানানো হলেও, তা ওয়াশিংটন প্রত্যাখ্যান করেছে। গত অগাস্টে যুক্তরাষ্ট্র দুই হাজার কোটি ডলার ফাইটার জেট ও অন্য সামরিক উপকরণ ইসরায়েলের কাছে বিক্রির একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছিল। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, সবশেষ যেসব অস্ত্র পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে, তার মধ্যে আছে আকাশ থেকে আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র, হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র, আর্টিলারি গোলা এবং বোমা।

অস্ত্র বিক্রির সাথে জড়িত একটি সূত্র বিবিসিকে শনিবার জানিয়েছে: “প্রেসিডেন্ট এটা পরিষ্কার করেছেন, আন্তর্জাতিক আইন ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সাথে সঙ্গতি রেখে ইসরায়েলের নাগরিকদের আত্মরক্ষা এবং ইরান ও তার প্রক্সিদের আগ্রাসন প্রতিরোধের অধিকার আছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সক্ষমতা সরবরাহ আমরা অব্যাহত রাখবো।” জো বাইডেন প্রায়শই ইসরায়েলের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনকে ‘অবিচ্ছেদ্য’  আখ্যায়িত করে থাকেন। মূলত যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ। এছাড়া দেশটি ইসরায়েলকে সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তির সামরিক উপকরণ বানাতেও সহায়তা করছে।

 

স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসআইপিআরআই) এর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল সময়ের মধ্যে ইসরায়েল যত অস্ত্র আমদানি করেছে তার মধ্যে ৬৯ ভাগই যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা হয়েছে। এর আগে গত বছরের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র দুই হাজার পাউন্ড ও পাঁচশ পাউন্ড ওজনের বোমার একটি চালান স্থগিত করেছিল। গাজার দক্ষিণাঞ্চলে রাফাহ শহরে ইসরায়েলের স্থল অভিযানের উদ্বেগ থেকে তখন এি সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছিল দেশটি। এতে ওয়াশিংটনের রিপাবলিকানরা তীব্র সমালোচনায় নেমে পড়েছিল। পাশাপাশি বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু একে ‘অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার’ সাথে তুলনা করেছিলেন। এরপর বাইডেন স্থগিতাদেশ আংশিক প্রত্যাহার করে নেন।

 

এবার যে চালান পাঠানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে তা বাইডেন প্রশাসনের সাম্প্রতিক সময়ের অনেকগুলো পদক্ষেপের একটি। তবে প্রেসিডেন্ট বাইডেন হোয়াইট হাউস ছাড়ার আগে সম্ভবত এটাই ইসরায়েলের কাছে শেষ অস্ত্র বিক্রি। আগামী ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ডোনাল্ড ট্রাম্প এর আগে বিদেশে সংঘাত বন্ধের কথা জোর দিয়ে বলেছেন। এমনকি নিজের নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িয়ে পড়ার বিষয়টি কমিয়ে আনার কথা বলেছেন। ট্রাম্প নিজেকে ইসরায়েলের একজন কট্টর সমর্থক হিসেবে বলে থাকেন। তবে তিনি ইসরায়েলকে গাজার সামরিক অভিযান দ্রুত শেষ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

 

ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর গাজায় স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। ২০২৩ সালের সাতই অক্টোবরে ওই হামলায় ১২শ মানুষকে হত্যার পাশাপাশি ২৫১ জনকে বন্দি করা হয়েছিল। এরপর গাজায় ইসরায়েলের অভিযানে ৪৫ হাজার ৫৮০ জন মারা গেছে বলে সেখানকার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। বিবিসি বাংলা

শেয়ার:
আরও পড়ুন...
স্বত্ব © ২০২৫ দৈনিক দেশবানী
ডিজাইন ও উন্নয়নে - রেনেক্স ল্যাব