সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা করেছে উত্তর-পূর্ব আফ্রিকার দেশ সুদান। আন্তর্জাতিক বিচার আদালত বৃহস্পতিবার এ তথ্য প্রকাশ করেছে। খবর রয়টার্সের।
আদালত সূত্র জানিয়েছে, গণহত্যা কনভেনশনের অধীনে বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘনের অভিযোগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে বিশ্ব আদালতে মামলা করেছে সুদান। গৃহযুদ্ধে জর্জরিত আফ্রিকার দেশটির আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসকে (আরএসএফ) অস্ত্র সরবরাহ করার জেরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনা হয়।
২০২৩ সালে পশ্চিম দারফুরে অ-আরব মাসালিত উপজাতির বিরুদ্ধে আরএসএফ এবং মিত্র আরব মিলিশিয়ারা তীব্র জাতিগত আক্রমণ চালায়। রয়টার্স সেই ঘটনা বিস্তারিতভাবে নথিভুক্ত করে। জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র এই আক্রমণগুলোকে গণহত্যা বলে তালিকাভুক্ত করে। মামলাটি সেই গণহত্যার সঙ্গে সম্পর্কিত।
রয়টার্স সুদান সরকারের আবেদনের একটি অনুলিপি হাতে পেয়েছে। তবে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে সংবাদমাধ্যমটির মন্তব্যের অনুরোধের জবাব দেয়নি।
সুদানের কর্মকর্তারা প্রায়শই সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে প্রায় দুই বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধে সরকারের প্রতিদ্বন্দ্বী আরএসএফকে সমর্থন করার অভিযোগ করে আসছেন। সে অভিযোগ সংযুক্ত আরব আমিরাত অস্বীকার করেছে কিন্তু জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ এবং মার্কিন আইন প্রণেতারা বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করেছেন।
আইসিজে-তে সুদান অভিযোগ করেছে, আরএসএফ গণহত্যা, হত্যা, সম্পত্তি চুরি, ধর্ষণ, জোরপূর্বক স্থানচ্যুতি, অনুপ্রবেশ, জনসাধারণের সম্পত্তি ভাঙচুর এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে।
আইসিজে বিশ্ব আদালত নামেও পরিচিত। তার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সুদানের মতে বিদ্রোহী আরএসএফ মিলিশিয়া এবং সংশ্লিষ্ট মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোকে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরাসরি সমর্থন দেওয়ায় এই সমস্ত কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। নয়তো সেসব ঘটাতে গোষ্ঠীগুলো সক্ষম হতো না।
এ ঘটনায় রয়টার্স সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ফিরতি বার্তায় আমিরাত জানিয়েছে, তারা মামলাটি অবিলম্বে খারিজ করার দাবি করবে। কারণ এটির কোনও আইনি বা বাস্তব ভিত্তি নেই।