পটুয়াখালীর দুমকি-বাউফল সড়কের চরগরবদি খেয়াঘাটের (‘জেলা পরিষদের ইজারাকৃত) খেয়া পারাপার বন্ধ করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
গত বুধবার বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনেই বগা প্রান্তে সুলতান সিকদার, আবুল চৌকিদার, সেহেল হাং এবং চরগরবদি প্রান্তে সরোয়ার মৃধা, মিজানুর হাং জলিল মুন্সীসহ ১৫/২০জনের একটি সন্ত্রাসী চক্র দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দেয়ায় খেয়াপারাপার বন্ধ করে দিয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালী সশস্ত্র দুর্বৃত্তদের হামলা, মারধরের চাপ ও হুমকিতে তটস্থ মাঝিরা নৌকা, ট্রলার ঘাটে রেখে পারাপার বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে। চাঁদার দাবির অভিযোগ অস্বীকার করে চরগরবদি গ্রামের সরোয়ার মৃধা বলেন, সতন্ত্র খেয়াঘাটের ইজারা তারা পেয়েছে, ঘাট তৈরী করেই তারা খেয়া পারাপার করুক, ফেরীর পণ্টুনে কেন? ফেরীর ইজারার সাথে জেলা পরিষদের ঘাট ইজারার কোন সম্পর্ক নেই। কোন ঝামেলাও পোহাতে চাই না।
সরেজমিন, লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় চরগরবদি ফেরীঘাটে গিয়ে জরুরী পণ্য ও রুগীবাহী এ্যাম্বুলেন্স পারাপারের জন্য ফেরী চলাচল করতে দেখা গেলেও খেয়া পারাপার বন্ধ দেখা যায়। খেয়া পারাপারের নৌকা ও ট্রলার গুলো পণ্টুণের দক্ষিণ পাশের্^র চরে বেধে রাখা হয়েছে। খেয়া পারাপার বন্ধ থাকায় জনদুর্ভোগ বাড়ার পাশাপাশি দরিদ্র পীড়িত খেয়া নৌকার মাঝি পরিবারে হাহাকার লেগেছে। খেয়া নৌকার মাঝি শাহআলম খার ছেলে কামরুল খান জানান, দুবৃত্তরা পন্টুনে খেয়ার নৌকা ভেরাতে দিচ্ছে না। ইজারাদারের কাছে দাবিকৃত চাঁদার টাকা না পেয়ে আমাদের নৌকা-ট্রলার বন্ধ করে দিয়েছে। একই অভিযোগ চরগরবদি গ্রামের আলী আহম্মদের ছেলে আবদুল মন্ন্াফ মাঝি, রশিদ শরীফের ছেলে সালাম শরীফসহ অন্যান্য মাঝিদের। মাঝিদের অভিযোগ, করোনা মহামারি এবং কঠোর লকডাউনের সময় খেয়াপারাপার করে কোন রকম সংসার চালাই, এখন খেয়া বন্ধ করায় ছেলে মেয়ে স্ত্রী-পরিজন নিয়ে না খেয়েই মরতে হবে!
খেয়াঘাটের ইজাদারাদার মো: নূরুজ্জামান খান অভিযোগ করে বলেন, সড়ক ও জনপদের ঘাট জেলা পরিষদের যায়গায়। সরকারের দু’টি দপ্তর সমন্বয় করেই ইতোপূর্বে ঘাট পরিচালিত হয়েছে। চলতি পহেলা বৈশাখ থেকে নতুন ডাক (ইজারা) না পাওয়ার ক্ষোভে দুর্বৃত্তরা পণ্টুণে খেয়া ভেরাতে দিচ্ছে না। তারা একলক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছিল, টাকা না দেয়ায় জোড়পূর্বক খেয়া মাঝিদের ভয়ভীতি দেখিয়ে খেয়াপারার বন্ধ করে দিয়েছে। এ ব্যাপারে দুমকি থানায় দুর্বৃত্তদের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান।
দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ মেহেদী হাসান বলেন, মৌখিক অভিযোগ শুনেছি, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন।