ফেনীর সোনাগাজীর আলোচিত নুসরাত জাহান রাফি হত্যার আজ দুই বছর পূর্ণ হলো। ২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল সোনাগাজীর ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার ছাদে তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এতে তার শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে যায়। এরপর চার দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল তিনি মারা যান।
মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মামলা তুলে না নেয়ায় তাকে আগুনে পুড়ানোর চেষ্টা করা হয়।
পরে নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান ২০১৯ সালের ৮ এপ্রিল অধ্যক্ষ সিরাজকে প্রধান আসামি করে আটজনের নামসহ অজ্ঞাতপরিচয় চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন। পরে নুসরাতের মৃত্যুর এই মামলা হত্যা মামলায় রুপান্তর হয়। আলোচিত এ ঘটনায় আসামিদের মৃত্যুদণ্ড দ্রুত কার্যকরের দাবি জানিয়েছে নুসরাতের পরিবার।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হাফেজ আহমেদ সংবাদমাধ্যকে বলেন, ২৮ মে অভিযোগপত্র জমা দেয়ার পর ২০ জুন অভিযোগ গঠন করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। ৬১ কার্যদিবসে ৮৭ সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয়ার পাশাপাশি যুক্তিতর্ক হয়। ২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ মামলার রায়ে ১৬ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন। পাশাপাশি প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
আসামিরা হলেন- সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদ-দৌলা (৫৭), নুর উদ্দিন (২০), শাহাদাত হোসেন শামীম (২০), কাউন্সিলর ও সোনাগাজী পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলম (৫০), সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের (২১), জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন (১৯), হাফেজ আব্দুল কাদের (২৫), আবছার উদ্দিন (৩৩), কামরুন নাহার মনি (১৯), উম্মে সুলতানা পপি (১৯), আব্দুর রহিম শরীফ (২০), ইফতেখার উদ্দিন রানা (২২), ইমরান হোসেন মামুন (২২), সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাদরাসার সাবেক সহ-সভাপতি রুহুল আমিন (৫৫), মহিউদ্দিন শাকিল (২০) ও মোহাম্মদ শামীম (২০)।