৩৮ বছর বয়সী এক নারী টয়লেটে গিয়ে বাচ্চার জন্ম দিয়েছেন। কিন্তু বাচ্চা জন্ম দেয়ার আগ পর্যন্ত তিনি বুঝতেই পারেননি যে তিনি গর্ভবতী। এমন অবাক করা ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন শহরে। ইউএসএ টুডে জানিয়েছে, ওই নারীর নাম মেলিসা সার্জকফ।
তিনি বলেন, গর্ভবতী হওয়ার অনেক লক্ষণই তার ছিল। কিন্তু টয়লেটে যখন বাচ্চার জন্ম দেন মেলিসা তখন বুঝতেই পারেননি যে তিনি প্রথম সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তিনি ভেবেছিলেন তার পেট থেকে কিডনির পাথর বেরিয়েছে।
মেলিসা বলেন, আমি যে গর্ভবতী ছিলাম তা আমি বুঝতেই পারিনি। তবে ৮ মার্চের সকালে আমার ক্র্যাম্পস অনুভব হয়। আমার পিরিয়ড অনিয়মিত। তাই আমি ভেবেছিলাম পাঁচ মাস পর আবার আমার পিরিয়ড শুরু হবে।
কিন্তু দিন যত গড়িয়েছে ততই ক্র্যাম্পস বাড়ে মেলিসা। এমনকি বাধ্য হয়ে তার মাকেও ফোন মেলিসা যাকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারে। মেলিসা বলেন, আমি হাসপাতালে যাওয়ার আগে রেডি হওয়ার জন্য বাথরুমে যাই। তখন রক্ত দেখতে পাই। আমি ভাবলাম যে, ভালোই হলো পিরিয়ড শুরু হচ্ছে।
এরপর তার মাকে আবারও ফোন দেন মেলিসা। তিনি ভালো আছেন বলে জানান তাকে। কিন্তু আবারও যত সময় যেতে থাকে মেলিসার তলপেটের ব্যথা ততই বাড়তে থাকে। পরে প্রকৃতি ডাকে সাড়া দিয়ে টয়লেটে যান মেলিসা। তিনি মনে মনে বলতে থাকেন এটা পিরিয়ড নয় কিডনির পাথর হতে পারে।
কিছুক্ষণ তার পেট থেকে কিছুটা একটা বের হয় বলে অনুভব করেন মেলিসা। কিন্তু তখনও তিনি জানতেন না যে বাচ্চার জন্ম দিয়েছেন মেলিসা। তাই যখন আমি টয়লেটের দিকে তাকাই তখন আমি ভেবেছি যে, এটা একটা অঙ্গ।
একটু পর ওই অঙ্গ দেখতে বাথরুমে ঢোকেন মেলিসার বয়ফ্রেন্ড ডোনাল্ড ক্যাম্পবেল। কিন্তু অবাক হয়ে বুঝতে পারেন সেটা আসলে একটি ছেলে শিশু। তারপর দ্রুত ৯১১ এ ফোন দেন তিনি। হাসপাতালে যাওয়ার পর এই জুটিকে ডাক্তাররা জানায়, তাদের ছেলে লিয়াম সুস্থ আছে।