1. [email protected] : দেশ রিপোর্ট : দেশ রিপোর্ট
  2. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  3. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  4. [email protected] : অনলাইন : Renex অনলাইন
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০৬ পূর্বাহ্ন

রাস্তা ছাড়া এক গ্রাম

নিজস্ব সংবাদদাতা
  • মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২০

এ যেন রূপকথার এক গ্রাম। দেখতে ছবির মতো সুন্দর, কোথাও কোনো শব্দ নেই। রূপকথার এ রাজ্য দেখতে চাইলে যেতে পারেন গিয়েথুর্ন গ্রামে। এটি নেদারল্যান্ডসের ছোট্ট এবং সুন্দর একটা গ্রাম। সবুজে ঘেরা জাদুকরী এ গ্রামটি পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। এটাকে ‘নেদারল্যান্ডসের ভেনিস’ও বলা হয়।

১২৩০ সালে স্বপ্নের মতো এ গ্রামটি প্রতিষ্ঠিত হয়। অন্যান্য স্থান থেকে এ গ্রাম আলাদা কারণ এখানে যাওয়ার কোনো রাস্তা নেই। এ জন্য এখানে কোনো গাড়ির শব্দও শোনা যায় না। গ্রামটিতে যেতে হলে গ্রামের বাইরেই গাড়িটি রেখে যেতে হয়।

ছোট ছোট দ্বীপগুলোর মধ্যে যোগসূত্র তৈরি করেছে সেতু
এখানে যেতে হয় পানিপথে। গ্রামের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে যেতে এখানকার বাসিন্দারা নৌকা ব্যবহার করেন। গ্রামের শান্ত পরিবেশ বজায় রাখতে নৌকাগুলোতে ব্যবহার করা হয় শব্দ ছাড়া ইঞ্জিন।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, এ গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় মাটির নিচে ছোট -বড় ফাঁপা অংশ ছিল। গ্রামে মানুষ বসবাস শুরু করার পর, সেগুলি খুঁড়ে বার করতে শুরু করে।

গ্রামের বিভিন্ন দিক দিয়ে চলে গেছে খাল
বছরের পর বছর ধরে সেগুলি খুঁড়ে বার করার ফলে গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় ছোটখাটো হ্রদ তৈরি হয়। এ গুলোর একটার সঙ্গে আরেকটা সংযোগ করে এ গ্রামে যেতে পানিপথ তৈরি হয়েছে।

গ্রামের বিভিন্ন দিক থেকে খালগুলি চলে যাওযায় গ্রামটাও ছোট ছোট দ্বীপে পরিণত হয়েছে। এ দ্বীপগুলোর মধ্যে যোগসূত্র তৈরি করেছে ১৫০টিরও বেশি সেতু।

রাজধানী আমস্টারডাম থেকে এ গ্রামটির দুরত্ব ৭৫ কিলোমিটার। বাস বা ট্রেনে সহজেই যাওয়া যায় এ গ্রামের সীমানায়।

ডাচ ফিল্মমেকার বার্ট হান্সট্রা তার কমেডি ফিল্ম ‘ফ্যানফেয়ার’-এর শুটিং এ গ্রামে করার পর ১৯৫৮ সালে গ্রামটা বিশ্বের নজরে আসে।

শেয়ার:
আরও পড়ুন...
স্বত্ব © ২০২৩ দৈনিক দেশবানী
ডিজাইন ও উন্নয়নে - রেনেক্স ল্যাব