1. [email protected] : দেশ রিপোর্ট : দেশ রিপোর্ট
  2. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  3. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  4. [email protected] : অনলাইন : Renex অনলাইন
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৩ পূর্বাহ্ন

খুলনায় ৮ ভিক্ষুক পেলেন মাথা গোঁজার ঠাঁই

নিজস্ব সংবাদদাতা
  • বৃহস্পতিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২১

খুলনায় আট ভিক্ষুকসহ মোট ৯ হতদরিদ্র ও অসহায়কে জমিসহ গৃহনির্মাণ করে দিচ্ছে পুলিশ। সর্বনিম্ন দেড় শতক থেকে এক কাঠা পর্যন্ত জমি অসহায় পরিবারের নামে রেজিস্ট্রি করা হয়েছে। এসব জমি দানসূত্রে এবং ক্রয় করে নেওয়া হয়েছে।

প্রত্যেক অসহায় পরিবারের জন্য জমির ওপর একটি করে সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে ঘরের সরঞ্জাম তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। শিগগিরই অসহায় পরিবারগুলোর মধ্যে জমি ও ঘর হস্তান্তর করা হবে।

এদিকে গত ৩ মার্চ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে ডিআইজি পদমর্যাদার তিনজন এবং অতিরিক্ত ডিআইজি পদমর্যাদার দুজনের একটি দল খুলনায় এসে জমি এবং গৃহনির্মাণের কার্যক্রম পরিদর্শন করে গেছেন। দলটি খুলনার ফুলতলা ও রূপসা উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেছে।

এ ছাড়া গৃহনির্মাণের সরঞ্জামের মানগুলো কেমন হচ্ছে তাও পরিদর্শন করেন।

 

খুলনা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সূত্র জানায়, খুলনার উপজেলা পর্যায়ের ৯ থানা যথাক্রমে— দীঘলিয়া, বটিয়াঘাটা, পাইকগাছা, ডুমুরিয়া, রূপসা, ফুলতলা, দাকোপ, তেরখাদা ও কয়রার ৯ জনকে জমি ও গৃহনির্মাণ করে দেওয়া হবে।

ইতোমধ্যে জমি অসহায়দের নামে রেজিস্ট্রিও করা হয়েছে। ৯ জনের মধ্যে আটজনই ভিক্ষুক এবং একজন অসহায় গৃহিণী। প্রত্যেক উপজেলা থেকে পাঁচটি করে মোট ৪৫ জন অসহায় মানুষের মধ্যে থেকে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের দল ৯ জনকে জমি ও গৃহনির্মাণ করে দেওয়ার চূড়ান্ত তালিকা দিয়েছে।

এদের মধ্যে দীঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি ইউনিয়নে দুই শতক জমিতে গৃহনির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে পারুল বিবিকে, বটিয়াঘাটা উপজেলার গঙ্গারামপুর ইউনিয়নে আড়াইশতক জমিতে দেওয়া হচ্ছে রূপসী রায়কে, পাইকগাছা উপজেলার শোলাদানা ইউনিয়নে দুই শতক জমিতে মর্জিনা বেগমকে, ডুমুরিয়া উপজেলার ১১নং ডুমুরিয়া সদরে দুই শতক জমিতে আছিয়া বেগমকে, রূপসা উপজেলার ২নং শ্রীফলতলা ইউনিয়নে এক দশমিক ৬৫ শতকে জায়েদা বেগমকে, ফুলতলা উপজেলার জামিরা ইউনিয়নে দুই শতক জমিতে সেকেল মোল্লাকে, দাকোপ উপজেলায় এক দশমিক ৬৫ শতক জমিতে ভোজী বেগমকে, তেরখাদা উপজেলায় আনন্দনগর এলাকায় দুই শতক জমিতে আয়তন বেগমকে এবং কয়রা উপজেলায় এক কাঠা জমিতে সুফিয়া বেগমকে জমি ও গৃহ দেওয়া হবে।

দাকোপের ভোজী বেগম একজন অসহায় গৃহিণী। এ ছাড়া আটজনই পেশায় ভিক্ষুক ও অতিদরিদ্র।

এ বিষয়ে খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান বলেন, প্রত্যেক থানা থেকে পাঁচজনের তালিকা করে হেডকোয়ার্টারে পাঠানো হয়। সেখান থেকেই খুলনার জেলার ৯ থানার জন্য ভিক্ষুকসহ হতদরিদ্র ৯ জনকে চূড়ান্ত করা হয়েছে। দেশের মধ্যে সম্ভবত খুলনায় ৯ জনের জন্য জমি ইতোমধ্যে রেজিস্ট্রি করে হেডকোয়ার্টারে জানানো হয়েছে।

এসব জমি ও গৃহনির্মাণের ব্যয় সব পুলিশের। খুলনার ৯টির মতো সারা দেশের ৫৩৪ থানায় হতদরিদ্র পরিবারের জন্য গৃহনির্মাণ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। অসহায় ও হতদরিদ্রের মধ্যে জমি ও গৃহনির্মাণ করে হস্তান্তর করার পরও সেটির সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন করবে পুলিশ।

শেয়ার:
আরও পড়ুন...
স্বত্ব © ২০২৩ দৈনিক দেশবানী
ডিজাইন ও উন্নয়নে - রেনেক্স ল্যাব