দেশে করোনা মহামারি সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস প্রথম বর্ষের (২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ) ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার (২ এপ্রিল) বেলা ১১টা পর্যন্ত হয়। পরীক্ষা কেন্দ্র করে করোনা সুরক্ষায় স্বাস্থ্যবিধি মানার কথা থাকলেও গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে সমালোচনা করা হয়েছে। সমালোচনার বিষয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর দাবি করছে করোনা সুরক্ষা স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত দেশের ১৯টি কেন্দ্রের ৫৫টি ভেন্যুতে ১০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম আহসান হাবিবের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার (০২ এপ্রিল) সারা দেশে ৫৫টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠত হয়। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমএন্ডডিসি) কর্তৃক প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে পালন করেছে। প্রত্যেক পরীক্ষার্থীসহ পরীক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক ছিল। সারা দেশে ১ লাখ ২২ হাজার ৮শ’ ৭৪ জন আবেদনকারীদের মধ্যে ১ লাখ ১৬ হাজার ৮৫৬ জন ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। সরকারি মেডিকেল কলেজে প্রতি আসনের বিপরীতে ২৬ দশমিক ৮৬ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় জেলা প্রশাসকসহ যারা সহযোগিতা করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে।
পরীক্ষার্থীরা মাস্ক পড়ে পরীক্ষায় অংশ নিলেও কেন্দ্রের বাইরে ছিল রীতিমতো ‘জনস্রোত’। পরীক্ষার্থী ও তাদের স্বজনদের ভিড়ে সামাজিক দূরত্ব মানা হয়নি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মধুর ক্যানটিন-সংলগ্ন প্রধান গেটটি বন্ধ রেখে শুধু পকেট গেট খোলা রাখা হয়। পরীক্ষা শেষে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সরু পকেট গেট দিয়ে ঠেলাঠেলি করে বের হতে দেখা যায়। কয়েকজন অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা বললেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অনেককেই ফেসবুকে ভিড়ের ছবি পোস্ট করে মহামারির সময়ে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেন।