রাজধানীতে হেফাজত ইসলামের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালে কোনও এলাকায় চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে আবার কোথাও কঠোর হরতাল পালিত হচ্ছে। তবে বেশিরভাগ এলাকায় যানবাহন স্বাভাবিক থাকলেও রাস্তায় ব্যক্তিগত ও গণপরিবহণ সংখ্যা তুলনামূলক কম।
আজ রোববার (২৮ মার্চ) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, গুলিস্তান, পল্টন, শাহবাগ, নীলক্ষেত, এলিফ্যান্ট রোড, ধানমন্ডি, শুক্রাবাদ, শ্যামলী, কল্যাণপুর ও গাবতলি এলাকায় একই চিত্র চোখে দেখা যায়। এদিকে রাজধানীর মোড়ে মোড়ে নাশকতা ঠেকাতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
রাজধানী জুড়ে গণপরিবহণ কম থাকায় কর্মস্থলে যাওয়া মানুষের ভোগান্তিও বেড়েছে। তবে মোটামোটি সব রাস্তায় রিকশা চলছে। আর সেই সুযোগই কাজে লাগিয়ে ভাড়া বেশি চেয়ে বসছেন চালকরা। উপায় না পেয়ে বেশি ভাড়াতেই যেতে হচ্ছে গন্তব্যে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রোববার সকালে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান নেন কয়েকশ মাদরাসা শিক্ষার্থী। সড়ক অবরোধ করে স্লোগান দেন নেতাকর্মীরা। অনেকেই হাতে নিয়েছেন কাঠের লাঠি ও বাঁশ। রাস্তায় বাস চলতে দেখা না গেলেও, কিছু কিছু রিকশা ও মোটরসাইকেল বিভিন্ন দিক থেকে আসছিল। মাদরাসা শিক্ষার্থীরা সেগুলো ফিরিয়ে দিচ্ছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে বিক্ষোভে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের কয়েকজন কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় রোববার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয় হেফাজত ইসলাম। এ হরতালে সমর্থন দিয়েছে চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলনসহ বেশ কিছু ইসলামী দল।