উখিয়ার বালুখালি ক্যাম্প ৮-ই, ডব্লিউ ও ক্যাম্প ৯ এবং ১১-১২-তে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে রোহিঙ্গাদের হাজারের অধিক, ঝুপড়ি ঘর, দোকানপাট পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সোমবার বিকাল আড়াইটার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা ও ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও তা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।
অগ্নিকাণ্ডের সুত্রপাতের সঠিক তথ্য জানা না-গেলেও এতে দুইশত কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন রোহিঙ্গা নেতা ডা. ফয়সাল আনোয়ার। তিনি প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, শুধু বালুখালী বলীবাজার মার্কেটের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে শত কোটি টাকার।
অগ্নিকাণ্ডের সময় রোহিঙ্গারা প্রাণ বাচাঁতে এদিক-ওদিক ছুটাছুটি করতে গিয়ে প্রায় শতাধিক রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু আহত হয়েছেন। আহত রোহিঙ্গাদের উখিয়া হাসপাতাল ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্থাপিত বিভিন্ন এনজিওর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এ ঘটনায় বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬ পর্যন্ত কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের বালুখালী এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার ইমদাদুল হক প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুন লেগেছে। দ্রুত আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় নিয়ন্ত্রণ করতে কষ্ট হচ্ছে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের উখিয়া স্টেশন, রামু স্টেশন ও কক্সবাজার স্টেশনের চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে বলে প্রতিদিনের সংবাদকে নিশ্চিত করেছেন ক্যাম্প ইনচার্জ মোহাম্মদ তানজীম।
এ রিপোর্ট লেখাকালীন সন্ধ্যা ৬টার দিকে ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে।
এ ব্যাপারে উখিয়া নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমেদ ও সহকারী কমিশনার ভূমি আমিমুল এহসান খানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও ফোন রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেলিকপ্টারের সহযোগিতা চেয়েছেন রোহিঙ্গা নেতা মো. নুর।