গত চার মাসের মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও সুদান ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপন করে। এসব চুক্তি স্বাক্ষরের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব মোকাবিলায় আরব দেশগুলোকে ইসরায়েল ঘনিষ্ঠ করে তুলছে ট্রাম্প প্রশাসন। তিনটি আরব দেশের দেখানো পথে বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় চতুর্থ আরব দেশে হিসেবে ইসরায়েলের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক গড়ে তোলার চুক্তি স্বাক্ষর করে মরক্কো।
ওই চুক্তি স্বাক্ষরের এক দিনের মাথায় মরক্কোর কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রির পরিকল্পনার কথা জানা গেলো। এই প্রস্তাবের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র নির্মিত চারটি ড্রোন ছাড়াও রয়েছে পূর্ব নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম গোলাবারুদ।
মরক্কো ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিকের চুক্তি স্বাক্ষরের পর বৃহস্পতিবার এর প্রশংসা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পশ্চিম সাহারার বিতর্কিত ভূমিতে মরক্কোর সার্বভৌমত্বকে ওয়াশিংটন স্বীকৃতি দেওয়ার পর ওই চুক্তিতে সম্মত হয় দেশটি। তবে এই চুক্তির নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনি নেতারা।