মেনোপোজ নিয়ে আমরা কতটা জানি বা কতটুকু জ্ঞান বৃদ্ধি পেয়েছে তা এখনো পরিষ্কার না। মেনোপোজ নারীদের শরীরের স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। সাধারণত ৪৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সে নারীদের শরীরে এই পরিবর্তন ঘটে। একাংশ ভাবেন ঝঞ্জাট থেকে মুক্তি। আরেকাংশ ভাবেন তাদের দিন শেষ। তবে সঠিকভাবে এই সময়টাতে শরীরের খেয়াল না রাখলে দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা।
সময়ের আগে অনেকের মেনোপজ হয়ে যায়। বর্তমানে মেয়েরা দেরিতে বিয়ে করে। সন্তানও দেরিতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সেক্ষেত্রে সময়ের আগে মেনোপোজ হলে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। সেক্ষেত্রে শারীরিক সম্পর্কে বা লিবিডোতে সমস্যা হলে তার চিকিৎসা আছে। অনেকই ভাবেন এতে শারীরিক সম্পর্ক শেষ করতে হয়। মানসিক দিকে দিয়েও অনেকে পিছিয়ে পড়েন। কিন্তু এই ভাবনাচিন্তা সম্পূর্ণ মানসিক। শারীরিক নয়।
তবে কিছু সমস্যা যেমন ড্রাইনেস বা চুলকানি আসতে পারে। কিছুক্ষেত্রে ইনফেকশনও হতে শরীরে গরম অনুভূত হওয়া, রাতের বেলায় ঘাম হওয়া, ঘুম না হওয়া, দুশ্চিন্তা হওয়া, মনমরা ভাব এবং যৌনতায় বা মিলনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলার ঘটনা অতি সাধারণ।এছাড়া মূত্রথলিতে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মেনোপজের সময় এগিয়ে আসছে তা বুঝবেন কী করে? হঠ্যা করে অনিদ্রা, বুক ধড়ফড়ের মতো সমস্যা আসবে। একটু সময় পর পর মেজাজ হারিয়ে ফেলবেন আপনি। কিন্তু চিকিৎসা করলে এই সময়টিতে ভালো থাকা যাবে। যদি কেউ ভেবে থাকেন মেনোপজের সময় পিছাবেন ওষুধ খেয়ে তা কখনই সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে ডাক্তারি পরামর্শ ছাড়া কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়। তবে মেনোপজ হয়ে গেলেও কৃত্রিম উপায়ে পিরিয়ড চালু রাখা যায়। সেই সাথে মেনোপজের সময় জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনাও জরুরী।
১. প্রথমত ব্যালেন্সড ডায়েট বা ভারসাম্যপূর্ণ খাবার খাওয়া। চর্বিযুক্ত খাবার না খাওয়া। হৃৎপিণ্ড ও হাড়কে সুরক্ষা দিতে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া।
২. দুশ্চিন্তা, চাপ ও হৃদরোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে নিয়মিত কিছু ব্যায়াম করা।
৩.হার্টের অসুখ ও হঠাৎ গরম লাগা কমাতে ধূমপান ও অ্যালকোহল পান বন্ধ করা।