বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বরখাস্ত হওয়া কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিমের জামিন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আদেশের ফলে সব মামলায় জামিন পাওয়া ইরফানের কারামুক্তির বাধা কাটল। রায়ের অনুলিপি হাতে পাওয়ার পর ইরফান সেলিমের কারামুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা।
এর আগে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ইরফান সেলিমকে কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। দুই সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদেরকে সেই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল। গত ২৭ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত বছর নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খান স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন। ধানমণ্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে পেছন থেকে তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয় সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের স্টিকারযুক্ত গাড়ি।
ওয়াসিফ নিজের পরিচয় দিলেও গাড়ি থেকে নেমে ইরফান সেলিম গালাগাল করে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যান। এরপর গাড়িটি কলাবাগান বাসস্ট্যান্ড সিগন্যালে দাঁড়ালে ওয়াসিফ মোটরসাইকেল নিয়ে সেখানে গিয়ে গাড়িটির জানালায় নক করেন। তখন গাড়ি থেকে লোকজন নেমে ওয়াসিফকে মারধর করে রক্তাক্ত করেন। তাদের বিরুদ্ধে পরদিন সকালে ধানমণ্ডি থানায় মামলা করেন ওয়াসিফ।
এর পর পুরান ঢাকায় হাজী সেলিমের বাসায় র্যা ব অভিযান চালায়। এ সময় র্যা বের ভ্রাম্যমাণ আদালত মাদক রাখার দায়ে ইরফান সেলিমকে এক বছর কারাদণ্ড দেন। অবৈধ ওয়াকিটকি রাখার কারণে দিয়েছেন ছয় মাসের কারাদণ্ড। ইরফানের দেহরক্ষী মো. জাহিদকে ওয়াকিটকি বহন করার দায়ে ছয় মাস সাজা দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানে ওই বাড়ি থেকে অস্ত্র, ইয়াবা, ৩৮টি ওয়াকিটকি ও অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।