ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৪ মার্চ উপজেলার বখুরা নামা পাড়া গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী নাজমুল হকের (৩৫) বাড়ি থেকে ৩৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে। কিন্তু বাড়িতে সিসি ক্যামেরা থাকায় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে নাজমুল পালিয়ে যান। নাজমুলের বিরুদ্ধে কক্সবাজার এলাকায় পূর্বের মাদক মামলা ছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে নিজের মাইক্রোবাসে করে কক্সসবাজার থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট এনে গফরগাঁওয়ের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া মাদক কারবারিদের তৎপরতার সামাল দিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পৌর শহরের গো-হাটা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০৩ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১০ মার্চ পাগলা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৪৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে। তবে একের পর এক মাদক উদ্ধার অভিযান চালিয়েও মাদকের বিস্তার রোধ করা যাচ্ছে না। খুচরা ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে উপজেলার সর্বত্র মাদক ছড়িয়ে পড়ছে। নিশ্চিত ধ্বংসের পথে পা বাড়াচ্ছে তরুণ প্রজন্ম।
জানা যায়, গফরগাঁও থানা পুলিশ গত ফেব্রুয়ারি ও চলতি মার্চ মাসে ৮টি মাদক মামলার বিপরীতে ৮ জনকে গ্রেপ্তার, ২ লিটার মদ, ৫০ গ্রাম গাঁজা ও ৬০৪ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে। অন্যদিকে পাগলা থানা পুলিশ ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে ১২টি মাদক মামলার বিপরীতে ২২ জনকে গ্রেপ্তার এবং ৩৪০ গ্রাম গাঁজা ও ৩৭৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে গ্রেপ্তারকৃত মাদক ব্যবসায়ীরা আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে বের হয়ে পুনরায় মাদক ব্যবসা শুরু করে।
গফরগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ অনুকুল সরকার ও পাগলা থানার অফিসার ইনচার্জ রাশেদুজ্জামান বলেন, আমরা যতটা ইনফরমেশন পাই সে অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করি, মাদক উদ্ধার করি। কিন্তু সীমান্ত গলিয়ে মাদক আসা বন্ধ না হলে মাদকের বিস্তার রোধ করা কঠিন।