অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার পর শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনায় ইউরোপে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ছে।
এ ঘটনায় চলতি সপ্তাহে ডেনমার্ক, নরওয়ে ও আইসল্যান্ড, নেদারল্যান্ডসসহ সাতটি দেশে অক্সফোর্ডের টিকার ব্যবহার স্থগিত করে দিয়েছে। যদিও অক্সফোর্ডের টিকা নিলে মানুষের শরীরের রক্ত জমা বাঁধবে—এমন কোনো আভাস মেলেনি বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছে ভ্যাকসিন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকা। টিকার সঙ্গে রক্ত জমাটের ঝুঁকি বাড়ার কোন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই বলে জানিয়েছে তারা।
অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলছে, ইউরোপে এক কোটি ৭০ লাখ মানুষের মধ্যে মাত্র ৩৭টির মত রক্ত জমাটের ঘটনা ঘটেছে, এবং যারা এই টিকা নেয়নি তারাও একই সময়ে সমান সংখ্যায় রক্ত জমাটের শিকার হয়েছে।
কোম্পানির প্রধান মেডিকেল অফিসার অ্যান টেইল বলেন, ইউকে এবং ইইউতে প্রায় এক কোটি ৭০ লাখ মানুষ ইতিমধ্যেই আমাদের টিকা নিয়েছেন। এমনিতেই শত শত মানুষ স্বাভাবিক সময়েই রক্ত জমাটের শিকার হন। সেই তুলনায় ভ্যাকসিন নেওয়া মানুষদের মধ্যে রক্ত জমাটের সংখ্যা অনেক অনেক কম।
তিনি বলেন, মহামারির কারণে বিচ্ছিন্ন প্রতিটি ঘটনার ওপর এখন নজর অনেক বেশি, এবং মানুষের নিরাপত্তার জন্য অনুমোদিত ভ্যাকসিনের প্রতিক্রিয়ার ওপরও স্বাভাবিক এবং প্রচলিত নজরদারির চেয়ে অনেক বেশি নজরদারি হচ্ছে।
বর্তমানে বিশ্বের ৬৫টি দেশ এবং অঞ্চলে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকোর এই টিকা দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের মতো আরও কয়েকটি দেশে শুধু এই টিকাটিই ব্যবহার করা হচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস শুক্রবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, অক্সফোর্ডের টিকার ব্যবহার চালিয়ে যাওয়া উচিত। আমরা যা দেখব তা আমরা সব সময় দেখে থাকি—যেকোনো নিরাপত্তা সংকেত অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে।