সড়ক দুর্ঘটনা আমাদের দেশে এখন নিত্য নৈমত্তিক ঘটনা হয়ে গেছে। ঘর থেকে বের হলে সুস্থ দেহে ঘরে ফেরার কোনো নিশ্চয়তা নেই। কঠোর সড়ক আইন কিংবা এর বাস্তবায়ন কোনোটাই নেই। প্রতিদিন দুর্ঘটনার শিকার অসংখ্য মানুষের দলে এবার যোগ দিয়েছেন দেশের সংগীতাঙ্গনের দুই পরিচিত বাদ্যযন্ত্রী হানিফ আহমেদ ও পার্থ গুহ। গতকাল শনিবার ভোরে কক্সবাজার যাওয়ার পথে চট্টগ্রামের মিরসরাই এলাকায় এক সড়ক দুর্ঘটনায় তারা মারা গেছেন। অনেকেই দাবি করছেন, এটা হত্যাকাণ্ড।
দেশে যোকোনো অপরাধমূলক ঘটনা ঘটলে সোশ্যাল সাইটে ঝড় উঠে যায়। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদের মানুষ খুব কম থাকে। হানিফ-পার্থর মৃত্যুর পরেও এমন শূন্যতা দেখা যাচ্ছে। তাই তাই এই ‘হত্যা’র বিচার চেয়ে ব্যানার হাতে রাজপথে একাই দাঁড়িয়েছেন দূরবীন ব্যান্ডের ভোকাল সৈয়দ শহীদ। তার এই প্রতিবাদে সংগীত, নাটক ও চলচ্চিত্রের অনেকেই সমর্থন জানিয়েছেন। আর শহীদ বলছেন, সংগীতের প্রতিটি মানুষ যদি নিজের জায়গা থেকে প্রতিবাদ করেন, তাহলে এই হত্যার দ্রুত বিচার হবে।
গতকালের এই সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হন তরুণ গায়িকা বিউটি খান। কক্সবাজারগামী সেই গাড়িতে আরও ছিলেন গিটারবাদক রাহাত পাপ্পু আর কি-বোর্ডিস্ট নন্দন। আজ ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর এলাকায় দেখা যায়, একা ব্যানার হাতে দাঁড়িয়ে আছেন শহীদ। তার সেই ব্যানারে লেখা আছে, ‘আমরা মিউজিশিয়ান, আমার ভাই মরল কেন? আপনারা চাইলেই আমাদের ওপর গাড়ি তুলে দিতে পারেন না। মিউজিশিয়ান হানিফ ভাই ও পার্থ গুহ দাদার হত্যার বিচার চাই।’
শহীদের আশা, এবার অন্তত সঙ্গীতাঙ্গনের সবাই একজোট হয়ে প্রতিবাদ করবেন। নিরাপদ সড়কের দাবি জানাবেন। শহীদ একা তার জায়গা থেকে প্রতিবাদে নেমেছেন। বাকিরা আসলে সেই প্রতিবাদ আরও জোরদার হবে। মিউজিশিয়ানদের এক পরিবারের মতো হতে হবে। তখন এসব দুর্ঘটনা কিংবা ‘হত্যা’র ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হবে বলে তিনি মনে করেন। উল্লেখ্য, হানিফ-পার্থর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় অনেক সঙ্গীতশিল্পীকেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিতে দেখা গেছে।