আলবেনিয়ায় বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আসুদ আহ্মদ আলবেনিয়ার রাষ্ট্রপতি ইলির মেতার কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।
শুক্রবার সকালে রাজধানী তিরানায় প্রেসিডেন্সি ভবনে আয়োজিত এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে আলবেনিয়ার রাষ্ট্রপতির কাছে রাষ্ট্রদূত আসুদ আহ্মদ তার পরিচয়পত্র পেশ করেন।
পরিচয়পত্র পেশের পর আলবেনিয়ার রাষ্ট্রপতি এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের মধ্যে একটি একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আলবেনিয়ার রাষ্ট্রপতি এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণের জন্য রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানান।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তাকে গ্রহণ করার জন্য আলবেনিয়ার রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান এবং তাকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন।
তিনি তার দায়িত্ব পালনে আলবেনিয়া সরকারের সার্বিক সমর্থন প্রত্যাশা করে তার পূর্বসূরীর মতো তাকেও সহযোগিতা প্রদানের জন্য অনুরোধ জানান। এসময় তিনি বাংলাদেশ ও আলবেনিয়ার মধ্যে বিদ্যমান ভ্রাতৃপ্রতীম সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে পারস্পরিক সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র চিহ্নিতকরণের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করার ক্ষেত্রে অবদান রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও আলবেনিয়া উভয়ই মুসলিমপ্রধান দেশ এবং ওআইসির সক্রিয় সদস্য।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আলবেনিয়ার রাষ্ট্রপতিকে দুদেশের সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে তথ্যপ্রযুক্তি, জাহাজ নির্মাণ, পর্যটন, পোশাকশিল্প ও জ্বালানিসহ অন্যান্য খাত সম্পর্কে অবহিত করেন। বাংলাদেশ সরকারের ব্যবসা ও বিনিয়োগ-বান্ধব নীতিমালা এবং বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ও প্রণোদনা সম্পর্কে অবহিত করে বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য ও বিনিয়োগে আলবেনিয়ার ব্যাবসায়ীদের উৎসাহিত করার অনুরোধ জানান।
মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে গণহত্যার মুখে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ লাখ মিয়ানমারের (রোহিঙ্গা) নাগরিককে মানবিক বিবেচনায় গত ৪ বছর ধরে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে মানবিকতার যে অনন্য নিদর্শন বাংলাদেশ স্থাপন করেছে, সে বিষয়টি উল্লেখ করে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মিয়ানমারের নাগরিকদের স্বদেশে ফেরত নেয়ার বিষয়ে আলবেনিয়া সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি জাতিসংঘ, ওআইসিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে আলবেনিয়ার সক্রিয় সহযোগিতা ও সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে এসকল ফোরামের মাধ্যমে ও দ্বিপাক্ষিকভাবে রোহিঙ্গাদের নিরাপদে মিয়ানমারে ফেরত নেয়ার জন্য মিয়ানমার সরকারের ওপর কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টির অনুরোধ জানান।
এসময়, আলবেনিয়ার রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে তাদেরকে শুভেচ্ছা জানান এবং ভবিষ্যতে সুবিধাজনক সময়ে আলবেনিয়া সফরের আমন্ত্রণ জানান।