রংপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে এক যুবককে রাস্তায় ফেলে কয়েকজন লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করেছে। নগরীর প্রাণকেন্দ্র প্রেস ক্লাবের সামনে বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মারধরের দৃশ্যটি ভাইরাল হওয়ার পর রাতে পুলিশ তিনজনকে আটক করে। শুক্রবার বিকেলে তাদের ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালি থানার ওসি আব্দুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মারধরে আহত ফরহাদ (২৮) জাহাজ কোম্পানি এলাকার আব্দুল আলীমের ছেলে। বর্তমানে তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৬ নম্বর মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এর আগে এলাকার একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফিরছিলেন ফরহাদ। তার সঙ্গে একটি মেয়েও ছিল। পথে প্রেস ক্লাবের পাশে এক ছাপাখানার দুই কর্মচারী মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফরহাদের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়।
এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার বিকেলে ফরহাদকে প্রেস ক্লাব মার্কেটের কাছে পেলে ৮ থেকে ১০ জন যুবক লাঠি, লোহার রড, পাইপ ও ছুরি নিয়ে অতর্কিতভাবে তার ওপর হামলা চালায় এবং এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনা অনেকেই প্রত্যক্ষ করলেও কেউই তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেনি।
রমেক হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শান্ত জানান. ফরহাদের সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে ঘুমের ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে।
পরে আহত অবস্থায় ফরহাদকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতে ফরহাদের ওপর হামলার ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হলে নগরজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। বিষয়টি নজরে এলে পুলিশ উদ্যোগী হয়ে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করে।
কোতয়ালি থানার ওসি আব্দুর রশিদ জানান, নগরীতে দিনের বেলায় এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত ফরহাদ ও তার পরিবারের কেউ মামলা না করায় আটক ৩ যুবককে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।