রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) সম্প্রতি গঠন হওয়া খামার ব্যবস্থাপনা কমিটির ৯ সদস্যের চারজনই বিএনপিপন্থী। বৃহস্পতিবার নতুন কমিটির সভা হওয়ার কথা থাকলেও আওয়ামীপন্থীদের বাধায় তা আর হয়নি। এতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চমহল। ক্ষোভের মুখে আনা হয়েছে সদ্যগঠিত কমিটিতেও পরিবর্তন।
জানা যায়, ‘খামার ব্যবস্থাপনা’ এই কমিটিতে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজ এর ডিন অধ্যাপক ড. অলোক কুমার পাল’কে আহ্বায়ক ও প্রধান খামার তত্ত্বাবধায়ক আল সামসুল হক সাগরকে সদস্য সচিব করে ৯ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিতে বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. সরোয়ার হোসেন সহ সংগঠনটির সদস্য এগ্রিকালচারাল বোটানি বিভাগের অধ্যাপক মঈনুল হক, কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম মিজানুর রহমান, উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. ফাতেমা বেগম স্থান পেয়েছেন। বিএনপিপন্থীদের এমন মূল্যায়নে ক্ষোভ প্রকাশ করে অনুষ্ঠিতব্য সভাটি করতে আওয়ামীপন্থীদের একাংশ বাধা দিলে সভাটি আর হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রেজারার ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘উপাচার্য সরকারের আনুকূল্য পেয়েই দায়িত্ব নিয়েছেন। এখন যদি বিভিন্নভাবে সরকার বিরোধীদের পদায়ন করে সার্বজনীন হওয়ার চেষ্টা করেন তাহলে আওয়ামী লীগপন্থীরা ক্ষুব্ধ হবে, অন্যদিকে সরকার বিরোধীরা প্রভাবশালী হবে। আমি এর বিরোধিতা করি।’
এ বিষয়ে শেকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া বলেন, ‘মূলত কমিটি গঠন করা হয়েছিল যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রমকে ত্বরাণ্বিত করা যায়। এতে বেতন-ভাতার কোন সুযোগ নেই।’ তবে আওয়ামীপন্থীদের ক্ষোভের পর সদ্যগঠিত এ কমিটিতে পরিবর্তনও আনা হয়েছে বলে জানান উপাচার্য।