নারী উদ্যোক্তা মেলার আয়োজকদের কাছে চাঁদা দাবি করায় সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট সালেহ আহমদ সেলিমকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
একই সঙ্গে তার ওপর আনীত অভিযোগ তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করেছে মহানগর আওয়ামী লীগ।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন।
তিনি জানান, দলের শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে সালেহ আহমদ সেলিমকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না- জানতে চেয়ে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কাউন্সিলর সেলিমের ওপর আনীত অভিযোগ তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির সভাপতি হিসেবে মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট প্রদীপ ভট্টাচার্য্যকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
কমিটির বাকি দুইজন সদস্য হলেন- অ্যাডভোকেট বেলাল উদ্দিন ও জাহিদ সারোয়ার সবুজ। বুধবার রাতে নগরীর মির্জাজাঙ্গালের একটি অভিজাত হোটেলে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের জরুরি সভায় এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ সূত্র জানিয়েছে, উপশহর মাঠে আয়োজিত নারী উদ্যোক্তা মেলার আয়োজকদের কাছে কাউন্সিলর সালেহ আহমদ সেলিম মোটা অংকের চাঁদা দাবি করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে মেলার আয়োজক তৃণমূল নারী উদ্যোক্তারা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে অভিযোগ দেন।
পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ বিষয়টি তদন্তের জন্য সিলেট মহানগর কমিটিকে নির্দেশ দেয়। এ ঘটনায় গ্রাসরুটসের জাতীয় সমন্বয়ক অনিতা দাসগুপ্তা বাদী হয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরান (রহ.) থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ নিয়ে ৯ মার্চ দৈনিক সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ ও অভিযোগ আমলে নিয়ে বৃহস্পতিবার সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ জরুরি সভা ডেকে অভিযোগের সত্যতা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়ায় কাউন্সিলর সেলিমকে বহিষ্কার করে।
এ ব্যাপারে বহিষ্কৃত সালেহ আহমদ সেলিম বলেন, চাঁদাবাজি নয়, দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে সাংগঠনিকভাবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সভায় আমিও উপস্থিত ছিলাম। অলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যেও এরকম কিছু ছিল না। সভায় আমি আমার বক্তব্য উপস্থাপন করেছি। এরপর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমি সেটা মেনে নিয়েছি। বাদবাকি কার্যক্রম সাংগঠনিক নিয়মানুযায়ী হবে।