পটুয়াখালীর দুমকিতে রান্নাঘরে একা পেয়ে ১২ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় জামাল সিকদার (৪৫) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। এর আগে বিষয়টি ৫০০ টাকায় মীমাংসার চেষ্টা চালানো হয় বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে বুধবার রাতে দুমকি থানায় কিশোরীর মা একটি মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত জামাল সিকদারকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ওই কিশোরীকেও ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণের জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে।
কিশোরীর মা অভিযোগ করেন, ৪ মার্চ দুপুরে রান্নাঘরে আমার মেয়েকে একা পেয়ে পাশের বাড়ির জামাল শিকদার জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। আমি গিয়ে দেখে ফেলায় জামাল পালিয়ে যায়। বিষয়টি গোপন রাখার জন্য আমাকে নানাভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। প্রভাবশালী পরিবারের ভয়ে সন্ত্রস্ত অসহায় কিশোরীর পরিবারটি মামলা করতেও সাহস পাচ্ছিলেন না।
তিনি বলেন, বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় ইউপি সদস্যের উপস্থিতিতে সালিশ বৈঠকের নামে মাত্র ৫০০ টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টাও করা হয়।
টাকা নিয়েছেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে কিশোরীর মা বলেন, কেন আমার মেয়ের ইজ্জতের মূল্য কি ৫০০ টাকা? টাকা লাগবে না প্রয়োজনে ভিক্ষা করে খাব!
পুলিশকে জানিয়েছেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হ্যাঁ, থানা থেকে দুইজন স্যার এসেছিলেন। আমার আর মেয়ের কথা ভিডিও করে নিয়ে গেছেন।
তিনি আরও বলেন, অনেক আগেই স্বামী মারা গেছেন। দুনিয়াতে আমার একটা ছেলে আর এই মেয়ে ছাড়া কেউ নেই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল রাজ্জাক (রাজা মেম্বার) বলেন, আমরা স্থানীয়ভাবে একটা মীমাংসার চেষ্টা করেছিলাম। তবে এখন থানা পুলিশ ও আপনারা (মিডিয়া) জেনেছেন, আমাদের হাতে এখন তো আর কিছু নেই।
৫০০ টাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হ্যাঁ আমিও এরকম একটা কথা শুনতে পেয়েছি।
অভিযুক্ত জামাল শিকদারের মেজো ভাই মো. জাহাঙ্গীর শিকদার ঘটনাটি সম্পূর্ণই মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করে বলেন, আমাদের সম্মানহানি করতেই একটি মহল গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। ওই গোপন ষড়যন্ত্রের সাজানো নাটক এটি।
দুমকি থানার ওসি মো. মেহেদী হাসান বলেন, অভিযুক্ত জামাল সিকদারকে বুধবার রাতে আঙ্গারিয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ভিকটিমের জবানবন্দি গ্রহণের জন্যও আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।