1. [email protected] : দেশ রিপোর্ট : দেশ রিপোর্ট
  2. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  3. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  4. [email protected] : অনলাইন : Renex অনলাইন
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন

মহাকাশচারীর ক্যামেরায় এক ফ্রেমে বন্দি পৃথিবীর দুই মহাদেশ

নিজস্ব সংবাদদাতা
  • বৃহস্পতিবার, ১১ মার্চ, ২০২১

মহাকাশচারীর ক্যামেরায় তোলা এক ছবিতে পৃথিবীর দুই মহাদেশের এক অসাধারণ ছবি প্রকাশ করল নাসা। সেই ফ্রেমেই ধরা পড়েছে দুই কৃত্রিম উপগ্রহ সয়্যুজ ক্যাপস্যুল এবং ক্যানাডার্ম২। ভূমধ্যসাগরের ওপর ছবিটি তোলা হয়েছে মহাকাশ থেকে। দুই কৃত্রিম উপগ্রহ ছাপিয়ে দেখা যাচ্ছে দক্ষিণ পূর্ব ভূমধ্যসাগরের ছবি। এই ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ছবিটি তুলেছেন মহাকাশচারী অন্ড্রু মরগ্যান। ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে ছবিটি তোলা। সেই ছবিই প্রকাশ করেছে নাসা।

১৬ মিলিমিটারের ফিস আই লেন্স সচরাচর ব্যবহার করা হয় না। কিন্তু এই ছবিটি তোলার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়েছে। ছবিতে দুটি মহাদেশের চিত্রও ধরা পড়েছে। একটি আফ্রিকা, অন্যটি এশিয়া। আফ্রিকার নাইল ডেল্টা ও সিনাই উপদ্বীপ যেমন দেখা যাচ্ছে ছবিতে, তেমনই দেখা যাচ্ছে এশিয়ার লেভান্ট। উত্তরে বাহিত নীল নদ ভূমধ্যসাগরে মেশার আগে একটি ব-দ্বীপ তৈরি করেছে। সেটিই ধরা পড়েছে ছবিতে। এই অঞ্চলটি অত্যন্ত উর্বর। এখানে গাছপালাও রয়েছে। আশেপাশের মরুভূমির সঙ্গে এই অঞ্চলের তীব্র বৈপরীত্য রয়েছে। এই অঞ্চলে হাজার হাজার বছর ধরে কৃষিকাজ হয়। অন্যদিকে সিনাই উপদ্বীপ আফ্রিকা ও এশিয়ার মধ্যে সেতুর কাজ করে। সিনাইয়ের দক্ষিণে লাল সাগর আরব উপদ্বীপকে মিশর থেকে আলাদা করে।

মহাকাশচারীর এই ছবি ২০১৯ সালের ২৮ আগস্ট তোলা। নিকন ডি৫ ডিজিটাল ক্যামেরার ১৬ মিলিমিটার লেন্স ব্যবহার করে ছবিটি তুলেছিলেন তিনি। এটি জনসন স্পেস সেন্টার থেকে দেয়া হয়েছিল তাকে। ৬০ জনের একটি দল মহাকাশে গিয়েছিল সেই সময়। তখনই ছবিটি তোলা।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি নাসা একটি নীলাভ মোহময়ী গ্যালাক্সির ছবি পোস্ট করেছে। এটি পৃথিবী থেকে ১০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে। ছবিতে দেখা গেছে ছায়াপথটির সর্পিল বাহু অজস্র নতুন নক্ষত্রের সমন্বয়ে গঠিত। গোটা ছায়াপথ থেকে বিচ্ছুরিত হচ্ছে মোহময়ী নীল আলো। এই ছায়াপথের মধ্যভাগে রয়েছে একটি পুরনো নক্ষত্র। এর রং লালচে। লালচে নক্ষত্রের চারপাশে নীল আভা ছড়িয়ে থাকায় গোটা ছায়াপথকে অত্যন্ত সুন্দর করে তুলেছে। এই নীল রং মূলত নবীন নক্ষত্র থেকে আসছে। এই ছায়াপথের নাম দেওয়া হয়েছে এনজিসি ২৩৩৬। আপাতত মোহময়ী ছায়াপথের এই নামই রেখেছে নাসা। এক দশকেরও আগে জার্মানের জ্যোতির্বিদ উইলহেম টেম্পেল এটি প্রথম আবিষ্কার করেন। সালটি ছিল ১৮৭৬। এবার তার হাই রেজলিউশনের ছবি তোলা সম্ভব হলো।

সূত্র: কলকাতা২৪

শেয়ার:
আরও পড়ুন...
স্বত্ব © ২০২৩ দৈনিক দেশবানী
ডিজাইন ও উন্নয়নে - রেনেক্স ল্যাব