পটুয়াখালীর দুমকিতে বেঁচে আছেন আ: সত্তার মৃধা জঙ্গল নয়, থাকেন লোকালয়ে সমাজের মানুষের সাথে কিন্তু ভোটার তালিকায় ৫ বছর ধরে মৃত । পৃথিবীর আলো বাতাসে তিনি জীবত থাকলেও ভোটার তালিকায় তিনি মৃত। তিনি নিজে চাইলেও কোনো নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন না।
ভূক্তভোগী সত্তার মৃধা জানান, তিনি চাকুরীর সূত্রে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের খালিশপুর থানায় স্ত্রী পরিবার নিয়ে অস্থায়ীভাবে বসবাস করেন। তিনি বলেন, আমার স্থায়ী বাসস্থান আংগারিয়া ইউনিয়নের জলিশা গ্রামে ২০১৬ সালে আমার ভোটার বদলি করে আনা হয়। আমার স্থায়ী ঠিকানার সূত্রে আমি দুমকি উপজেলার ৩নং আংগারিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের জলিশা এলাকার একজন ভোটার। আমার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ৪৭৯৪৫১১১৩৭৭৫৬। আমি কিছুদিন আগে বয়স্ক ভাতার জন্য একটা একাউন্ট করতে এসে দেখতে পারলাম ভোটার তালিকায় আমার নাম কর্তন করা হয়েছে। নির্বাচন অফিসের সার্ভারে এনআইডি নম্বর দিয়ে সার্চ দিলে আমার স্ট্যাটাস মৃত দেখায়।
উপায়ন্ত না পেয়ে নিজের নাম পুনরায় ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্তির জন্য বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করেছেন। জীবিত থেকেও ভোটার তালিকা অনুযায়ী মৃত এই ভোটারের নাম আঃ সত্তার মৃধা। তিনি উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়নের জলিশা গ্রামের মৃত আমজেদ আলী মৃধার ছেলে।
তিনি অভিযোগ করেন, আমি জীবিত থাকার পরেও আমাকে মৃত দেখিয়ে ভোটার তালিকা থেকে নাম কর্তন করা হয়েছে। বিষয়টি মানবিক ভাবে নিয়ে বাংলাদেশের একজন স্থায়ী নাগরিক হিসেবে তাকে ভোটার তালিকায় পুনরায় নাম অন্তর্ভূক্ত করার জন্য অনুরোধ জানান।
এই বিষয়ে আংগারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ হাওলাদার বলেন ১৭/০৬/২০১৫ ইং হইতে তাকে ভোটার তালিকায় মৃত দেখায়, কিন্তু তিনি এখনো জীবিত আছে, আমি ব্যাক্তিগত ভাবে তাকে চিনি ও জানি। ভুক্তভোগী আঃ সাত্তার এই বিষয়ে দুমকি থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করেন।