কুমিল্লার আদালতে একটি মামলার শুনানি চলাকালে বিচারকের সামনে এক আসামির ছুরিকাঘাতে অপর আসামি খুনের ঘটনায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আতাবুল্লাহ আলোচিত এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। এ সময় মুত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হাসান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মো. হাসান (২৫) জেলার লাকসাম উপজেলা ভোচপাড়া গ্রামের মৃত শহিদ উল্লার ছেলে। নিহত ফারুক (৩০) জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার বিপুলাসার ইউনিয়নের কান্দি গ্রামের অহিদ উল্লার ছেলে। তারা দুজন সম্পর্কে আপন মামাত-ফুফাতো ভাই।
২০১৯ সালের ১৫ জুলাই সকালে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক বেগম ফাতেমা ফেরদৌসের আদালতের খাস কামরায় ওই হত্যার ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ওই আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মো নুরুল ইসলাম জানান, ২০১৩ সালে জেলার মনোহরগঞ্জের কান্দি গ্রামে বৃদ্ধ হাজী আবদুল করিমকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ২০১৯ সালের ১৫ জুলাই ওই মামলার জামিনে থাকা আসামিদের হাজিরার দিন ধার্য ছিল।
ওইদিন বেলা ১১টার দিকে আসামিরা আদালতে প্রবেশের পর ওই মামলার ৪নং আসামি ফারুককে ছুরি নিয়ে ধাওয়া করে ৮নং আসামি হাসান। এ সময় প্রাণভয়ে ফারুক বিচারকের খাস কামরায় ঢুকে পড়েন। এক পর্যায়ে পিছু ধাওয়া করে হাসান সেখানে গিয়ে ফারুককে টেবিলের ওপর ফেলে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে।