চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে স্বামী পরিত্যাক্তা নারী ৫২ বছরের বৃদ্ধা যমুনা পালের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের ভাই প্রবীর পাল বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে শিবগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
শিবগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, যমুনা পাল হত্যার ঘটনায় চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাদের যদি সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় তবে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
তিনি আরো জানান, হত্যা মামলাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। প্রকৃত আসামিদের যেন সঠিক বিচার হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখা হচ্ছে।
৪ মার্চ বৃহস্পতিবার ভোরে শিবগঞ্জ পৌর এলাকার ৪নং ওয়ার্ডের বাবু পাড়ায় একটি ভাড়া বাসা থেকে যমুনা পাল (৫২ ) নামে এক নারীর গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছেলের বউ পলি পালসহ আরো তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। চারজন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
শ্রী যমুনা পাল ও তার ছেলে শ্রী উজ্জল পালের স্ত্রী শ্রী পলি পাল ভাড়া বাসায় থাকত। ঘটনার রাতে যমুনা পালের ছেলে উজ্জল বাড়িতে ছিল না, সে ঋণগ্রস্ত হয়ে কয়েক মাস থেকে বাড়ির বাইরে রাজশাহীর একটি এলাকায় তার শ্বশুর শ্রী বিষনু পালের বাড়িতে থেকে কাজ করতো।
শ্রী পলি পাল স্থানীয় এক এনজিওতে মাঠকর্মী হিসেবে কাজ করত। নিহত যমুনা পালের ভাই শ্রী প্রবীর চন্দ্র পাল বলেন, বউ-শাশুড়ির সঙ্গে খুব ভালো বা খুব খারাপ সম্পর্ক ছিল না। স্বামী বাড়িতে না থাকায় ছেলে বউ পলি পাল পরকীয়াতে জড়িয়ে পড়ায় যমুনা পালের ছেলের বউয়ের ঘরে গভীর রাতে অন্য পুরুষকে দেখা ফেলায় এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে অনেকেরই ধারণা।