বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো ও মওকুফ এবং শর্ত শিথিলের আবেদন আইন মন্ত্রণালয়ে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তার কাছে পৌঁছেছে বলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আবেদনটি পেয়েছি। আশা করছি আগামী রোববার আমার মতামত দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে পারবো। এরপর সেটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে।’
এর আগে দুপুরে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো ও মওকুফ এবং শর্ত শিথিলের আবেদন আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা জানান। এখন আইন মন্ত্রণালয় মতামত দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠাবে বলেও জানান তিনি।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার দণ্ড দ্বিতীয় দফায় ছয় মাসের জন্য স্থগিত রয়েছে। আগামী ২৪ মার্চ সেই স্থগিতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ইতিমধ্যে খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোসহ কয়েকটি দাবি জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়।
আবেদন আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আবেদন আমরা পেয়ে (আইন মন্ত্রণালয়েল) পাঠিয়ে দিয়েছি।’
এরপরের প্রক্রিয়া আইন মন্ত্রণালয় মতামত দিয়ে ফের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেবে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘হ্যাঁ। এখান থেকে আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠাব।’
এর আগে বুধবার (৩ মার্চ) খালেদা জিয়ার দণ্ডের বিষয়ে পরিবারের আবেদনের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘সময়টা (বেগম জিয়ার দণ্ড স্থগিতে মেয়াদ) বোধহয় শেষ হয়ে যাচ্ছে। সেজন্য তারা আবার সময়টা এক্সটেনশন করার জন্য…। আরও কিছু শর্ত শিথিল করে এক্সটেনশন চেয়েছেন। উনি যা চেয়েছেন আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে…পরবর্তী সিদ্ধান্ত দেয়ার জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।’
তারা কী চেয়েছেন- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেছিলেন, ‘তারা তাদের পত্রে শর্ত আরও শিথিল করে…করোনাকালে তারা চিকিৎসা নিতে পারেননি সেটা জানিয়েছেন। এছাড়া তার দণ্ডাদেশ মওকুফ করা যায় কিনা সেই বিষয়েও তারা বলেছেন।’