পরমাণু সমঝোতা নিয়ে আর কোনো আলোচনা হবে না বলে ফরাসি প্রেসিডেন্টকে জানিয়ে দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।
মঙ্গলবার রাতে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে ফোনালাপে তিনি বলেন, এটি পুনরুজ্জীবিত করার একমাত্র উপায় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা।
পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের সুযোগ হাতছাড়া না করতে পাশ্চাত্যের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রুহানি বলেন, একবার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেলে পরিস্থিতি আরো জটিল রূপ নেবে।
ফোনালাপে ফরাসি প্রেসিডেন্ট পরমাণু সমঝোতাকে বিশ্ব শান্তির জন্য অতি জরুরি বলে মন্তব্য করে বলেন. সব পক্ষকে এই সমঝোতায় পূর্ণ মাত্রায় ফিরিয়ে আনার জন্য সংলাপ চালিয়ে যেতে হবে।
এজন্য দু’পক্ষকেই এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়া এবং তিন ইউরোপীয় দেশ তাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে না পারার পর ইরান পর্যায়ক্রমে নিজের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের গতি কমিয়ে দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও তিন ইউরোপীয় দেশ তাদের প্রতিশ্রুতিতে ফিরে এলে ইরানও পূর্ণ মাত্রায় এই সমঝোতা বাস্তবায়নে ফিরে যাবে।
২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী ইরান শুধু পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা চালাতে পারবে না। তবে আন্তর্জাতিক নজরদারির মধ্যে শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচি চালু রাখার অধিকার সে দেশের রয়েছে।
অর্থাৎ বিদ্যুৎ উৎপাদন ও চিকিৎসার মতো ক্ষেত্রে পরমাণু শক্তি কাজে লাগানো যেতে পারে।
পরমাণু চুক্তি নিয়ে নতুন করে আলোচনায় রাজি বাইডেনের প্রশাসন। কিন্তু ইরানের ওপর থেকে এখনই নিষেধাজ্ঞা তোলার ব্যাপারে প্রস্তুত নয় বাইডেন সরকার। তারা আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধান সূত্রে পৌঁছাতে চায়। কিন্তু ইরান কোনোরকম আলোচনায় যেতে রাজি নয়।
তাদের স্পষ্ট বক্তব্য, নিষেধাজ্ঞা না তোলা পর্যন্ত তারা কোনো রকম আলোচনায় যাবেন না।