চীনের সর্বোচ্চ ধনীর তকমা হারালেন জ্যাক মা। চীনের ই–কমার্স জায়ান্ট আলিবাবা ও এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান অ্যান্ট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। আজ মঙ্গলবার প্রকাশিত তালিকায় এমনটা দেখা গেছে। শুধু শীর্ষস্থান নয় তিন ধাপ পিছিয়ে তিনি এখন তালিকার চারে অবস্থান করছেন। চীনের নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ তার প্রতিষ্ঠানের ওপর চাপ বাড়ানোয় সম্পদ হারিয়েছেন তিনি।
সাংহাইভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান হুরুন চায়না রিচ লিস্টে ২০১৯ ও ২০২০ সালে জ্যাক মা ও তার পরিবারের অবস্থান শীর্ষে ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ তালিকায় দেখা যাচ্ছে, জ্যাক মা আর চীনের শীর্ষ ধনী নেই। তালিকায় দুই কিংবা তিনেও তার নাম নেই। তার অবস্থান চতুর্থ স্থানে। সম্প্রতি চীনা নিরাপত্তা বিভাগের তত্ত্বাবধানে আসার পর জ্যাক মা দেশের চতুর্থ শীর্ষ ধনী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন।
হুরুন গ্লোবাল রিচ-এর নতুন তালিকায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শীর্ষ ধনীর তলিকায় স্থান পেয়েছেন বোতলজাত পানির বিক্রয় প্রতিষ্ঠান নংফু স্প্রিংসের মালিক ঝং শানশান, টেনসেন্ট হোল্ডিংয়ের মালিক পনি মা ও পিনডুডু’র প্রতিষ্ঠাতা কলিন হুয়াং।
হুরুন গ্লোবাল রিচ লিস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের নিরাপত্তা বিভাগ জ্যাক মা’র প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের তত্ত্বাধানে নেওয়ার পর থেকে আলিবাবা ও অ্যান্ট গ্রুপের অবনমন শুরু হয়েছে। মা’র প্রতিষ্ঠানগুলোর দুর্দশার শুরু গত বছরের ২৪ অক্টোবর চীনের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কথা বলার পর থেকেই। এর পর অ্যান্ট গ্রুপের ৩৭ বিলিয়ন আইওপি স্থগিত করা হয়।
এর পর থেকে নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রকরা দেশের প্রযুক্তি খাতের ওপর নজরদারি অবিশ্বাস্যভাবে কঠোর করেছে। এর পুরো উত্তাপ সইতে হয়েছে আলিবাবাকে। ডিসেম্বর মাসে আলিবাবার একটি আনুষ্ঠানিক অ্যান্টি-ট্রাস্ট তদন্ত শুরু করা হয়।
জ্যাক মা মিডিয়াকে এড়িয়ে চলেন না। কিন্তু প্রায় তিন মাস ধরে জনসাধারণের চোখ থেকে অদৃশ্য ছিলেন এবং তার অবস্থান সম্পর্কে বিতর্কিত জল্পনা শুরু হয়েছিল। এরপর গত জানুয়ারিতে ৫০ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে জনসমক্ষে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি।
সূত্র: রয়টার্স।