বাংলাদেশে বর্তমান ফ্রিজ মার্কেটের প্রায় ৮০ ভাগ মার্কেট শেয়ার দেশীয় ব্র্যান্ডের দখলে। এর মধ্যে এককভাবে দেশি ব্র্যান্ড ওয়ালটনের দখলে ৬৬ ভাগ।
বাকিগুলো মার্সেল, সিঙ্গার ভিশন, মিনিস্টারসহ অন্যান্যদের দখলে। বিদেশি ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে রয়েছে- সিঙ্গার, স্যামসাং, শার্প ও এলজি।
সোমাবার (০১ মার্চ) দুপুরে ‘বাংলাদেশের ফ্রিজ শিল্পের উপর গবেষণা প্রতিবেদন’ শীর্ষক প্রতিপাদ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগে এক সংবাদ সম্মেলনে গবেষণার এই ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
‘মার্কেটিং ওয়াচ বাংলাদেশ (এমডব্লিউবি)’ এর এক গবেষণায় এই চিত্র উঠে এসেছে।
গবেষণার ফলাফল তুলে ধরেন মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও এমডব্লিউবির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ড. মো. নাজমুল হোসাইন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মার্কেটিং বিভাগের বর্তমান চেয়ারম্যান ও (এমডব্লিউবি) সহপ্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. নাজমুল হোসাইন ও ড. রাফিউদ্দীন আহমদ এবং গবেষক সাখাওয়াত হোসেন।
২ হাজার ৪৪০ ফ্রিজ ব্যবহারকারীর ওপর মাঠ পর্যায় এবং অনলাইন জরিপ (মাঠপর্যায় ১৭৭৮, অনলাইন ৬৬২ জন), ১০টি ফোকাস দল আলোচনা, ১০টি রিটেইল স্টোর অডিট, ১০ জন বিশেষজ্ঞের সমীক্ষা, ৩ হাজার ৮৬০টি অনলাইন ক্রেতার প্রতিক্রিয়া, ইলেকট্রনিক প্রোডাক্ট রিভিউয়ের মাধ্যমে ১৯৬টি পাবলিক পোস্ট বিশ্লেষণ এবং ৮টি প্রতিষ্ঠানের ৯টি টিভিসি বিশ্লেষণের মাধ্যমে গবেষণাটি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাংলাদেশে প্রায় দুই দশক ধরে ফ্রিজের বাজার দ্রুত গতিতে বাড়ছে। এর ব্যবহারের হার শহরের চেয়ে গ্রাম ও উপ-শহরগুলোতে অতি বেশি হারে বাড়ছে। ফ্রিজ মার্কেট প্রবৃদ্ধির জন্য মধ্য ও উচ্চ বিত্তের দ্রুত বিকাশ, ছোট পরিবার ও মহিলা কর্মজীবীর সংখ্যা বৃদ্ধি, গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুতায়নের মাধ্যমে উপ-শহরীকরণ প্রক্রিয়া, কম খরচে দেশি ফ্রিজ কেনার সক্ষমতা এবং ফ্রিজ ক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রেতাবান্ধব শর্তাবলীর (যেমন- কিস্তিতে ক্রয়, ওয়ারেন্টি ইত্যাদি) কথা উল্লেখ করা হয়।
গবেষণার ফলাফলে বলা হয়, ২০১০ সাল পর্যন্ত ফ্রিজের বাজার বিদেশি ব্র্যান্ডগুলো দ্বারা এককভাবে নিয়ন্ত্রিত ছিল এবং দেশি ব্র্যান্ডগুলোর মার্কেট শেয়ার ছিল খুবই কম। ২০১০ সাল থেকে ক্রমবর্ধমানহারে বিদেশি ব্র্যান্ডগুলো তাদের মার্কেট শেয়ার দেশি ব্র্যান্ডগুলোর কাছে হারাতে থাকে।
বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, যেকোনো দেশে ইলেকট্রনিক ইন্ডাস্ট্রি জিডিপিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশে এই শিল্পের অনেক বিস্তার ঘটেছে।