বগুড়ার ধুনট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে গরীব বেকার এক যুবকের কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে উঠেছে। এ ঘটনায় চাকরিপ্রত্যাশীর বড়ভাই রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ওই অভিযোগে ধুনট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই খোকন ও উপজেলার মহিশুরা গ্রামের সানোয়ার হোসেনের ছেলে গোপালনগর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সেলিম রেজাকে আসামি করা হয়েছে।
আজ রবিবার সকালের দিকে ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগটি তদন্তর করার জন্য একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তে সত্যতার প্রমান পাওয়া গেলে আইনানুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কোনাগাঁতী গ্রামের জসীম উদ্দিনের ছেলে শামীম রেজা একজন বেকার যুবক। তার অভাব অনটনের সংসার। কোনাগাঁতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম-নৈশপ্রহরী পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই খোকন ৩ লাখ টাকা নেন। প্রায় তিন বছর আগে মহিশুরা গ্রামের স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সেলিম রেজার মাধ্যমে তিনি এই টাকা গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে উক্ত পদে চাকরি পাইয়ে দিতে ব্যর্থ হয়েছেন আব্দুল হাই খোকন।
চাকরিপ্রত্যাশীর বড়ভাই আব্দুল হাই বলেন, সেলিম রেজার মাধ্যমে উপজেলা চেয়ারম্যানকে ৩ লাখ টাকা দিয়েছি। কিন্ত আমার ছোট ভাইকে চাকরি দিতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। পরে ওই টাকা ফেরত না দেওয়ার শনিবার রাতে থানায় অভিযোগ দিয়েছি। এছাড়া ২৫ ফেব্রুয়ারি টাকা ফেরত চাইতে গেলে সেলিম রেজা টাকা ফেরত না দিয়ে মহিশুরা বাজারস্থ তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আটক রেখে আমাকে ও আমার বাবাকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন।
ধুনট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই খোকন বলেন, ওই যুবককে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমার বিরুদ্ধে যড়যন্ত্রমূলকভাবে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে।