বগুড়া পৌরসভা নির্বাচনে প্রচারণার শেষ দিনে আওয়ামী লীগ-বিএনপির দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় ছুরিকাঘাতে উভয়পক্ষের তিনজন আহত হয়েছেন। আহতদের শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বগুড়া পৌরসভার নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিন ছিল। পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ও জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক পরিমল কুমার দাস (বর্তমান কাউন্সিলর)। তার প্রতীক উটপাখি। অন্যদিকে পাঞ্জাবি প্রতীকে লড়েন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আনন্দ কুমার দাস।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উটপাখির সমর্থনে বিকেলে একটি বড় মিছিল বের হয়। পরে খণ্ড খণ্ড মিছিল ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় করা হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে উটপাখির সমর্থকরা উত্তর চেলোপাড়া বটতলা এলাকায় পৌঁছালে পাঞ্জাবি প্রতীকের সমর্থনে একটি মিছিলের মুখোমুখি হয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।
এতে ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি মোহাম্মদ আলী শান্ত (২২), মিলন কুমার রায় (৪৩) ও নিপুল (২৪) ছুরিকাহত হন। এছাড়াও আরও ৫ থেকে ৭ জনকে লাঠিপেটা করার অভিযোগ উঠেছে। আহতরা বর্তমানে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক)-এ চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ ঘটনায় পুলিশ চেলোপাড়ায় অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন- তন্ময় কুমার দত্ত (৩৫) এবং টুলু বেপারী (৫২)।
এদিকে, ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতিকে ছুরিকাঘাতের প্রতিবাদের রাত ১১টায় সাতমাথার জিরো পয়েন্টে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেলা ছাত্রলীগ। এসময় ছাত্রলীগ সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক তিতাস শনিবার বিকেল ৪টায় সান্ধ্যার পট্টী এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দেন।
বগুড়া সদর থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, হামলার ঘটনার জানার পরই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এছাড়া ২ জনকে আটক করা হয়েছে।