কলকাতার অদূরে হুগলির সাহাগঞ্জে দাঁড়িয়ে সোমবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বারবার ‘সোনার বাংলা’র স্বপ্ন দেখালেন এবং প্রতিশ্রুতি দিলেন পরবর্তী বিজেপি সরকার পশ্চিমবঙ্গে আসল পরিবর্তন আনবে।
মোদিকে সভামঞ্চে দেখতে পাওয়া মাত্র প্রায় দুই লাখের বেশি মানুষের ভিড় থেকে ‘মোদি, মোদি’ রব ভেসে আসে। সভার মেজাজ আর ভিড় দেখে বক্তব্যের শুরুতে বাংলা! প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেন, ‘বাংলা পরিবর্তনের জন্য মন ঠিক করে ফেলেছে। এবার আসল পরিবর্তন হবে।’
নিজের বক্তব্যে বারবার মোদি বলেন, কিভাবে মমতা ব্যানার্জি সরকারের আমলে পশ্চিমবঙ্গ সব দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়ছে। সোমবার মোদি দাবি করেছেন, বাংলায় বিজেপি সরকার এলে লগ্নি থেকে শিক্ষা, বাঙালির পুরনো ‘গর্ব’ ফিরিয়ে দেবেন তিনি।
একই মাসের মধ্যে দ্বিতীয় বার বাংলায় ভোট প্রচারে এসে ফের একবার প্রাক-স্বাধীনতায় বাংলার ঐতিহ্য নিয়ে মন্তব্য করেছেন মোদি। তিনি বলেছেন, ‘স্বাধীনতার আগে দেশের অন্য রাজ্যের থেকে এগিয়ে ছিল বাংলা। কিন্তু যারা এতদিন বাংলায় রাজত্ব করেছে, তারা বাংলাকে দুর্দশার দিকে ঠেলে দিয়েছে।’
তোলাবাজি মুক্ত, রোজগার যুক্ত বাংলা গড়ার লক্ষ্যে এদিন ঝাঁঝালো বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলার বিকাশের সামনে দেওয়াল তৈরি করেছে মমতার তৃণমূল সরকার, এমনই তীব্র আক্রমণ করেন মোদি। তাঁর কথায়, ‘আমার বিশ্বাস, এক জোটে বাংলার কৃষক, শ্রমিক এবং যুবকদের জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়তে পারব আমরা।’
পশ্চিমবঙ্গে এখনো ভোটের তফসিল ঘোষণা হয়নি। কিন্তু আজ যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আক্রমণ করলেন মোদি তাতে স্পষ্ট মোদির আসল চোখ বাংলাতেই।
দেশভক্তির বদলে তৃণমূল সরকার ভোটব্যাংকের রাজনীতি করে বলে দাবি করেছেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেছেন, ‘বঙ্কিমচন্দ্রের বন্দেমাতরম ভবনের রক্ষণাবক্ষণে নজর দেয়নি কেউ। এর পেছনে অনেক বড় রাজনীতি লুকিয়ে রয়েছে। এই রাজনীতি দেশভক্তির বদলে ভোটব্যাংকের, সকলের বিকাশের পরিবর্তে তোষণের। এখানে দুর্গাপূজার ভাসানও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বাংলার মানুষ এদের ক্ষমা করবে না। বাংলার মানুষকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, ‘২১-এ বিজেপির সরকার এলে বাংলার মানুষ নিজের সংস্কৃতি নিয়ে মাথা উঁচু করে বাঁচবে। কেউ ভয় দেখাতে পারবে না। বিজেপি সোনার বাংলা তৈরি করতে কাজ করবে, যার মধ্যে এখানকার সংস্কৃতি ও ইতাহাস আরো মজবুত হবে। এমন বাংলা যেখানে সবার উন্নতি হবে।’