ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ জানিয়েছেন, পরমাণু অস্ত্র ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় তাদের অর্থনীতিতে এক ট্রিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে। তিনি এর ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। এদিকে আরেক টুইটার বার্তায় জাভেদ জারিফ দাবি করেন, ইসরাইলের পরমাণু কেন্দ্র নিয়ে ইউরোপ কিছু বলছে না। তারা দ্বৈতনীতি পালন করছে।
আলজাজিরা ও পার্স টুডের বরাতে জানা যায়, জাভেদ জারিফ গতকাল দেশটির রাষ্ট্রীয় প্রেস টিভিকে দেওয়া দীর্ঘ সাক্ষাত্কারে বলেন, আন্তর্জাতিক পরমাণু চুক্তি নিয়ে যখন আবার আলোচনা শুরু হবে তখন আমরা ক্ষতিপূরণের বিষয়টি উত্থাপন করব। তিনি এ সময় সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ২০১৮ সালে পরমাণু চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার পর ট্রাম্প ইরানের সব খাতে নিষেধাজ্ঞা দেন। তিনি জানান, ট্রাম্প নতুন করে ৮০০ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। আর পরমাণু চুক্তির আগে জারি করা ৮০০ নিষেধাজ্ঞাও পুনর্বহাল করেন ট্রাম্প।
টুইটার বার্তায় জাভেদ জারিফ পরমাণু ইস্যুতে আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থা ও পশ্চিমা দেশগুলোর দ্বৈতনীতির তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, এই অঞ্চলে পারমাণবিক বোমা তৈরির একমাত্র কারখানা হলো ইসরাইলের দিমোনা। স্যাটেলাইট চিত্র ও আমেরিকার ফেডারেশন অফ সায়েন্টিস্টদের বক্তব্য অনুযায়ী, ইসরাইল ঐ দিমোনা পরমাণু অস্ত্রাগারের সম্প্রসারণ করে যাচ্ছে। আমেরিকা ও ইউরোপ কিন্তু এ বিষয়ে অন্ধ নীতি অনুসরণ করে নীরব ভূমিকায় আছে। তাদের যত উদ্বেগ ইরানের শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে। সুতরাং তাদের মুখে উদ্বেগের কথা বেমানান।