বিশৃঙ্খল পরিবেশ এড়াতে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ কঠোর অবস্থান থাকলেও ফরিদগঞ্জে সেই অঘটন ঘটলই। ২১ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা ১ মিনিটে উপজেলা সদরস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আসা উপজেলা আওয়ামী লীগের ফুলের ডালাটি ভাঙ্গার মধ্যে দিয়ে এই ঘটনার সৃষ্টি হয়।
জানা গেছে, শনিবার দিবাগত রাতে ফরিদগঞ্জে মহান একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাহেদ সরকারের নেতৃত্বে শহীদবেদীতে ফুল দিতে যান নেতার। এ সময় ভিতরে কিছু লোকজন থাকায় পুলিশ ঝামেলা এড়াতে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে তাৎক্ষনিক ভিতরে প্রবেশে বাঁধা দেন।
আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ হঠাৎ ধমকে দাঁড়ানোর কারণে ধাক্কাধাক্কির সৃষ্টি হয়। এ সময় মধ্যে কে বা কারা পেছন থেকে তাদের ধাক্কা দেয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের ফুলের ডালাটি ভেঙ্গে যায়।
এই নিয়ে কিছু সময় শহীদ মিনার চত্বরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে তারা পুনরায় ফুলের ঢালা তৈরি করে রাত প্রায় ১টা ১০ মিনিটে শহীদ বেদীতে ফুল দেয় আওয়ামী লীগ নেতারা।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাহেদ সরকার জানান, উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ শহীদ মিনারের পরিবেশ বজায় রাখতে পারেনি। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী শহীদ মিনারে পাঁচজনের বেশি প্রবেশের অনুমতি না থাকলেও প্রচুর লোকজন ছিল। আমরা অল্পকিছু লোকজন শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করতে আসলে পুলিশ হঠাৎ করেই আমাদের ভিতরে প্রবেশে বাঁধা দেয়। এতে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টির এক পর্যায়ে আমাদের ফুলের ডালাটি ভেঙ্গে যায়। পরবর্তীতে আমরা এক ঘণ্টা পর নতুন ডালা নিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিউলী হরি জানান, ফুলের ডালা ভাঙ্গা অসাবধানতা জনিত কারণে হয়েছে। অন্য কিছু নয়।
এদিকে ফুলের ডালার ভাঙ্গার বিষয়টি ইচ্ছাকৃত না অনিচ্ছাকৃত তা তদন্তের প্রয়োজন মনে করছেন সচেতন মহল।