1. [email protected] : দেশ রিপোর্ট : দেশ রিপোর্ট
  2. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  3. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  4. [email protected] : অনলাইন : Renex অনলাইন
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪০ পূর্বাহ্ন

লাল গ্রহের ছবি পাঠাতে শুরু করল নাসার রোভার

নিজস্ব সংবাদদাতা
  • শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

নাসার রোভার মঙ্গলের মাটি ছুঁয়েছে। ইতিমধ্যেই মঙ্গলগ্রহের ছবি পাঠাতে শুরু করেছে রোভার। মঙ্গলগ্রহে গভীর এক গর্তে নেমেছে রোবট। কয়েকশো কোটি বছর আগে মঙ্গলগ্রহে হ্রদে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের। এবারের মঙ্গলাভিযানের প্রধান লক্ষ্যই হল লাল গ্রহে প্রাণের সন্ধান খুঁজে বের করা।

ছয় চাকার এই যান আগামী দু’বছর মঙ্গল গ্রহ থেকে নমুনা সংগ্রহের কাজ করবে। মঙ্গলের বিভিন্ন প্রান্তে প্রাণের সন্ধান চালাবে এই মহাকাশযানটি। অতীতেও মঙ্গলে অণুজীবের অস্তিত্ব ছিল কিনা তার সন্ধান চালাবে নাশার পাঠানো এই রোভার।

মঙ্গলগ্রহে কোটি-কোটি বছর আগে যে হ্রদ ছিল বলে অনুমান করা হচ্ছে সেখানে পলির মত সেডিমেন্ট দেখা গিয়েছে। বিজ্ঞানীরা লালগ্রহের এই অংশটি নিয়ে খুবই উৎসাহিত। এই এলাকাটি রোভাররের মারফত খুঁটিয়ে পরীক্ষা করতে চান বিজ্ঞানীরা। মঙ্গলগ্রহের বর্তমান আবহাওয়া বেঁচে থাকার অনুকূল নয় বলেই জানাচ্ছে বিজ্ঞানীরা। সেখানে আবহাওয়া এতই ঠাণ্ডা যে জল সেখানে তরল অবস্থায় থাকতে পারে না। তাছাড়া মঙ্গলগ্রহের বায়ুমণ্ডলের স্তরও খুবই পাতলা।

সেই কারণেই সূর্যের চড়া আলোকরশ্মি এখানে পড়লে মাটির উপরিভাগের সব কিছু ধ্বংস করে দেয়। বিজ্ঞানীদের ধারণা, ‘মঙ্গলগ্রহের এখনকার পরিবেশের তুলনায় কয়েকশো কোটি বছর আগেকার ছবি এক ছিল না। সেই সময় মঙ্গলে জল ছিল বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের। এমনকী সূর্যের তাপের ফলে সৃষ্ট বিকিরণ মোকাবিলায় বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের ঘন আস্তরণও ছিল বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা।’

নাসার বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ‘রোভারটি মঙ্গলগ্রহের উপরে থাকা ব-দ্বীপের মত চেহারার একটি অংশের দুই কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবতরণ করেছে। আগামী দু বছর এই এলাকাটিতেই পারসিভেয়ারেন্স প্রাণের সন্ধান চালাবে। নাসার বিজ্ঞানীদের অনুমান, মঙ্গলগ্রহে পাথরের যে কোনও রকম অণুজীবের অস্তিত্ব সংরক্ষণের ক্ষমতা রয়েছে। ফলে অতীতে যদি মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব থেকে থাকে, তাহলে এই পাথরের মধ্যে তার ইঙ্গিত মেলার আশা করছেন বিজ্ঞানীরা।’

শেয়ার:
আরও পড়ুন...
স্বত্ব © ২০২৩ দৈনিক দেশবানী
ডিজাইন ও উন্নয়নে - রেনেক্স ল্যাব